Advertisment

ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে কোটিপতি হওয়ার স্বাদপূরণ, দিনমজুরের ঘরে হুলস্থূল

ঝোকের বসে টিকিট কিনেই কেল্লাফতে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
labour in Malda became a millionaire by winning dear lottery

কোটিপতি প্রতাপ মণ্ডল। ছবি- মধুমিতা মণ্ডল

কখনো মাটি কাটার কাজ করেই চালাতেন সংসার, আবার কখনও ভিন রাজ্যে গিয়ে পরিবারের জন্য উপার্জন করে নিয়ে আসতেন সামান্য কিছু অর্থ । কিন্তু ভাগ্য যে বদলাতে পারে তা কখনোই আঁচ করতে পারেননি মানিকচকের হতদরিদ্র দিনমজুরের পরিবার। মাত্র ১২০ টাকার টিকিট ঝোকের বসে কেটেছিলেন পরিবারের গৃহকর্তা প্রতাপ মণ্ডল । আর সেই টিকিটেই কপাল খুলল। রাতরাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন প্রতাপ।

Advertisment

গত শনিবার রাতে লটারি টিকিট কাটার পর বাড়িতে জানাননি প্রতাপ মণ্ডল। কারণ, হতদরিদ্র পরিবারের কাছে ১২০ টাকার গুরুত্ব অনেক। তাই চুপচাপ ছিলেন তিনি। কিন্তু গ্রামের লটারি বিক্রেতা প্রতাপ মণ্ডলকে চিনতেন। রবিবার সাত সকালেই প্রতাপের বাড়িতে গিয়েই হৈচৈ শুরু করে দেন ওই লটারি বিক্রেতা। ঘুম থেকে উঠেই প্রতাপ লটারি বিক্রেতাকে দেখে আবাক হয়ে যান। বিক্রেতার মুখেই প্রতাপ জানতে পারেন যে, তিনি ১২০ টাকার যে লটারি টিকিট কেটেছিলেন, তাতেই ১ কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার লেগেছে। কেল্লাফতে! বাড়ির গিন্নি, ছেলেমেয়েরাও একথা শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু পরে আর অবিশ্বাসের কোনও জায়গা ছিল না। এরপরই সকালেই মানিকচক থানায় ছুটে যান দিনমজুর ১ কোটির মালিক প্রতাপ মণ্ডল। পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবদারও জানান তিনি।

মালিকচক থানার ভুবনটলা এলাকার এক চিলতে টালি, চাটাই দেওয়া বাড়িতেই স্ত্রী, নাবালক দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই সংসার প্রতাপ মণ্ডলের। দিন আনতে পান্তা ফুরানো প্রতাপের কাছে লটারির টিকিট কাটা কখনোই নেশা ছিল না। কিন্তু তিনি নাকি গত তিন চার দিন ধরেই সামান্য টাকায় লটারি টিকিট কাটা ধরেছিলেন। আর প্রথম বাজিতেই কিস্তিমাত।

প্রতাপ মণ্ডল বলেন, 'ভাবতে পারিনি ১ কোটি টাকার ডিয়ার লটারি টিকিট কেটে পুরস্কার পাবো। ভেবেছিলাম সারা জীবনই হয়তো অভাব অনটনের মধ্যেই জীবন কেটে যাবে। ছেলে-মেয়েগুলো কেউ ভাল মতো মানুষ করতে পারছিলাম না। এখন ওদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করব। বাড়ি তৈরি করব। আর কষ্টে থাকতে চাই না। সংসারে অনটনে জেরে কতদিন খাসির মাংসই খাইনি। তাই এখন সব ভুলে একটু বিলাসিতায় কাটাতে চাই। তবে যতদিন টাকাটা আমার একাউন্টে না ঢুকছে ততদিন খুব ভয় হচ্ছে। যদি কিছু অঘটন ঘটে যায়। তাই প্রথমেই মানিকচক থানার পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি।'

এদিকে লটারিতে ১ কোটি টাকা পুরস্কার পাওয়ার পর থেকেই প্রতাপের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয়-স্বজন থেকে পাড়া-প্রতিবেশীরা। অনেকেই দেখতে চাইছেন প্রতাপের ভাগ্যের চাকা ঘোরানসেই লটারির টিকিটের নম্বর।

Malda lottery Maldah
Advertisment