Advertisment

মূল্যবৃদ্ধির ছোঁয়ায় দাম বেড়েছে লাচ্ছা-সিমুইয়ের, ইদের বাজারে হতাশ ব্যবসায়ীরা

ইদের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমেই। সেই সঙ্গে বাজারে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে লাচ্ছা-সিমুই।

author-image
Sayan Sarkar
New Update
NULL

মূল্যবৃদ্ধির ছোঁয়ায় দাম বেড়েছে লাচ্ছা-সিমুইয়ের, ইদের বাজারে অখুশি ব্যবসায়ীরা

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই শেষ হতে চলেছে রমজান মাস। প্রায় একমাস রোজা রাখার পর এ বার পালা খুশির ইদ পালনের। উৎসবের আমেজে সেজে উঠেছে শহর কলকাতা। পাল্লা দিচ্ছে শহরতলিও। ইদের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমেই। সেই সঙ্গে বাজারে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে লাচ্ছা-সিমুই। তবে গত বছরের তুলনায় দাম খানিক চড়া এমনটাই জানিয়েছেন জাকারিয়া স্ট্রিটের ব্যবসায়ীরা। 

Advertisment

ইদের দিন সকাল থেকেই নামাজ পাঠের পরই শুরু হয়ে যায় মিষ্টিমুখ। সেই সঙ্গে চলে এলাহি খানা-পিনা। চলে বাড়ি বাড়ি সিমুই- লাচ্ছা বিতরণ। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন রকমের পায়েসও। তার সঙ্গে ইদের স্পেশাল জিভে জল আনা বিরিয়ানি তো রয়েছেই।

ইদের আগে ব্যস্ততা তুঙ্গে শহরের বাজারে। জাকারিয়া স্ট্রিটে ঢালাও বিক্রি হচ্ছে সিমুই- লাচ্ছা। গত বছর করোনা আবহে সেভাবে ব্যবসা হয়নি বলেই দাবি শহরের ব্যবসায়ীদের। এবার তাই বাজার আঁকড়ে ধরেছেন তারা। সকাল থেকে রাত খদ্দেরের আশায় দোকান খুলে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এবারেও সেভাবে বিক্রি নেই বলেই দাবি করেছেন, জাকারিয়া স্ট্রিটের ব্যবসায়ীরা।

এক ব্যবসায়ীর কথায়, “আগে যেখানে এক জন খদ্দের এলে লাচ্ছা সিমুই মিলিয়ে ৫ কেজি কিনতেই সেটা এখন অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। তার অন্যতম কারণ আগের তুলনায় অনেকটাই দাম বেড়েছে লাচ্ছা সিমুইয়ের”। বাজার ঘুরে দেখা গেল সকালের দিকে কার্যত ফাঁকা বাজার চত্ত্বর।

publive-image
জাকারিয়া স্ট্রিটে খদ্দেরের আশায় এক দোকানি

 সিমুইয়ের পাশাপাশি লাচ্ছার দাম খানিকটা চড়া বলেই জানাচ্ছেন দোকানিরা। কারণ ক্রমাগত দাম বাড়ছে ময়দা, ডালডা, রিফাইন তেল এবং ঘি-এর দাম। আর কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধির ফলেই দাম বেড়েছে সিমুই এবং লাচ্ছার। সেই সঙ্গে রয়েছে জ্বালানির লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি।

তবে লাচ্ছা সিমুই ছাড়া ঈদের অনুষ্ঠান ভাবাই যায় না। তাই দাম চড়া দাম থাকলেও ক্রেতারা আসছেন তবে যে পরিমাণে কিনতেন তার অর্ধেক লাচ্ছা সিমুই নিয়েই ঘরে ফিরছেন তাঁরা। এক ব্যবসায়ীর কথায়, " করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই বাজার খারাপ, তার ওপর এবছর দাম অনেকটাই চড়া। হাত দিতেই ভয় পাচ্ছেন ক্রেতারা। অপর এক দোকানির কথায়,"এ বছর করোনা অনেকটাই কম। বাজারে কাঁচামালের দাম যদি না বাড়ত তাহলে আরও বিক্রি বাট্টা বাড়ত”। 

আরও পড়ুন: হাঁসফাঁস গরমে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের প্রতি মানবিক কলকাতার নগরপাল

পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে সিমুইয়ের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর খুচরো বিক্রির ক্ষেত্রে দাম কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। পাশাপাশি লাচ্ছার দাম পাইকারি ক্ষেত্রে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এবং খুচরো বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা"। এছাড়াও বেশি দামের লাচ্ছা-সিমুই ও বাজারে রয়েছে।

এক দোকানির কথায়, "৩০০ টাকা কেজি সিমুইও রয়েছে আমার দোকানে। তবে বেশি দামের সিমুই এবারে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না"। অপরদিকে ক্রেতাদের কথায়," বাজারে সব জিনিস কিনতেই ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। লাচ্ছা সিমুইয়ের ক্ষেত্রেও তাই, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই কিনতে হচ্ছে”। 

eid Price Hike
Advertisment