বঙ্গতনয়ার সেরা চমক, সাড়ে ন’ফুটের মইয়ে দাঁড়িয়ে রয়্যাল এনফিল্ড বাইক চালিয়েই গড়লেন বিশ্বরেকর্ড। শতাব্দীর এই তাক লাগানো চমকে গর্ব হবে। 'লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে' নাম তুললেন বঙ্গতনয়া শতাব্দী ধর। একটানা আড়াই ঘণ্টা সাড়ে ন’ফুট মইয়ে দাঁড়িয়ে বুলেট চালিয়ে তাঁর সেরা চমকে ভিরমি খাবেন আপনিও।
Advertisment
বাইক স্টান্টের অনবদ্য কেরামতিতেই এল সাফল্য। গড়লেন ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। হুগলির পান্ডুয়ার মেয়ে শতাব্দী। বর্তমানে বিএসএফের মহিলা টিমের সদস্য তিনি। তার এই সাফল্যে গর্বিত সহকর্মী থেকে পরিবার পরিজন। জানা গিয়েছে বিএসএফের 'সীমা ভবানী' টিমের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। একই সঙ্গে সারা দেশে বাইক স্টান্টের নানা ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন শতাব্দী।
চোখধাঁধানো পারফর্মেন্সে বঙ্গতনয়ার তাক লাগানো চমক
Advertisment
সম্প্রতি চলন্ত 'রয়্যাল এনফিল্ড' বাইকের ওপরে রাখা ৯ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার মই-এর ওপর চেপে ৭৬.৮৮ কিলোমিটার বাইক চালিয়েছেন তিনি। আর তাতেই ছিনিয়ে নেন সেরার সেরা শিরোপা। ২ ঘন্টা ৩৩ মিনিট একটানা বাইক চালিয়েই মেলে সাফল্য। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। স্বামীও বিএসএফেই কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন হল তিনি পাঞ্জাব পুলিশে যোগ দেন। পাণ্ডুয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আদিবাড়ি। ছোটবেলা কেটেছে চমর অভাব-অনটনের মধ্যেই। অল্প বয়সেই বাবাকে হারান শতাব্দী। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জেদ এবং সকলের থেকে আলাদা কিছু করার খিদে বরাবরই তাড়া করে বেড়াত তাঁকে।
অনবদ্য বাইক স্টান্টেই ওয়ার্ল্ড রেকর্ড
২০১৪ সালে বিএসএফে যোগদান। ছোট থেকেই খেলাধুলায় রীতিমত পারদর্শী তিনি সেই সুবাদেই বিএসএফে চাকরি পান তিনি। বর্তমানে স্বামী এবং ছোট শিশুকন্যাকে নিয়ে দিল্লিতেই থাকেন তিনি। তাঁর এই রেকর্ড প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, “ছোট থেকেই কিছু করার খিদে সব সময় আমাকে তাড়া করে বেড়াত। আমি খেলাধূলায় ভাল ছিলাম, সেই সুবাদেই বিএসএফে চাকরি, সবসময় চেয়েছি সকলের থেকে আলাদা কিছু করতে, এভাবে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড জিতব তা ভাবিনি, তবে চেষ্টা করে গেছি, আর তাতেই সাফল্য।
সমাজের সকল মেয়েদের উদ্দেশ্যে শতাব্দীর বিরাট বার্তা, ‘সময় সবসময় যে তোমার পক্ষে থাকবে এমনটা নয়, কঠিন সময়েও নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকো, স্বপ্ন দেখো, সাফল্য তোমার কাছে এসে ধরা দেবে।' মা কাবেরী ধর এপ্রসঙ্গে বলেন, 'মেয়ের সাফল্যে আমি খুশি, ও ছোট থেকেই পুলিশ, অথবা আর্মিতে কাজ করতে চাইত, ও’র চেষ্টাতেই ওর আজকের এই সাফল্য।'