পুন্যভূমি গঙ্গাসাগর। রবিবার ভোর থেকে গঙ্গাসাগরে পুন্যস্নানে উপচে পড়া ভিড়। মকর সংক্রান্তির পুন্যস্নান সারছেন কাতারে-কাতারে পুন্যার্থী। এরাজ্য তো বটেই ভিনরাজ্য থেকে লক্ষ-লক্ষ পুন্যার্থীর ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই সাগরতটে। রবিবার দিনভর গঙ্গায় ডুব দিয়ে পুন্যস্নান পর্ব চলবে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্ত সমাগমে আরও একবার গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে সাগরদ্বীপের কপিল মুনির আশ্রম প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছে মিনি ভারতবর্ষ।
Advertisment
মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হয়েছে গতকাল সন্ধে ৬.৫৩ মিনিট থেকে। আজ অর্থাৎ, রবিবার সন্ধে ৬.৫৩ মিনিট পর্যন্ত রয়েছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অর্থাৎ, পুন্যর্জনের লক্ষ্যে গঙ্গাসাগরে ডুব দেওয়ার এটাই সেরা সময়। রবিবার ভোর হতে না হতেই গঙ্গাসাগরের জলে পুন্যস্নানের হিড়িক পড়ে যায়। গত দু'বছর করোনার জেরে পুন্যার্থীদের ঢল দেখেনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই জলবেষ্টিত প্রান্ত। তবে এবার আর করোনা বিধি নিষেধের বালাই নেই।
দিন কয়েক আগে থেকেই গঙ্গাসাগরে ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন সাধু-সন্তদের দল। শনিবার থেকে সেই ভিড় রেকর্ড তৈরি করেছে। কাকদ্বীপের লট-৮-এর ঘাটে জনপ্লাবন নেমেছিল। কপিল মুনির আশ্রমে মাথা ঠেকিয়ে লাখো-লাখো পুন্যার্থী নেমে পড়ছেন গঙ্গাসাগরের জলে। বিপুল উৎসাহে সাগর সঙ্গমে গা ভাসাতে নেমে পড়ছেন ভক্তরা।
এদিকে, সাগরমেলায় প্রতি বারের মতো এবারও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সদা তৎপর পুলিশ কর্মীরা। এছাড়াও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যও তৎপর রয়েছেন। গঙ্গায় অহরত টহল দিচ্ছে স্পিডবোট। এছাড়াও আকাশপথেও চলছে নজরদারি।