হলদিয়ার প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ তথা বর্তমান কংগ্রেস নেতা লক্ষ্ণ শেঠ ফের বিবাহিত জীবনের ইনিংস শুরু করলেন। ২০১৬ সালে লক্ষ্ণণ শেঠের প্রথম স্ত্রী তমালিকা পণ্ডা শেঠ প্রয়াত হন। তারপর থেকেই একাকিত্বে ভুগছিলেন একদা হলদিয়ার 'বাদশা'৷ সেই কারণেই তাঁর দ্বিতীবার বিয়ের সিদ্ধান্ত বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন লক্ষ্ণণবাবু।
তমালিকা পণ্ডা শেঠ ছিলেন সিপিআইএম কর্মী। হলদিয়া পুরসভার চেয়ারপার্সন। লক্ষ্মণ শেঠের দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় কী? জানা গিয়েছে তা প্রকাশ করতে চাননি লক্ষ্মণবাবু৷ নিজের এলাকায় ধুমধাম করে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন এই প্রাক্তন সাংসদ।
সূত্রের খবর, কলকাতার বাসিন্দা মানসী দে-কে বিয়ে করেছেন লক্ষ্ণণ শেঠ। মানসীদেবী কংগ্রেস কর্মী। পাশাপাশি তাঁর ব্যবসাও রয়েছে বলে খবর। অনেকের দাবি, একটি পাঁচতারা হোটেলে কর্মরতা মানসী দে। লক্ষ্ণণ শেঠের সঙ্গে তমালিকার ১৯৭৯ সালে বিয়ে হয়ছিল। তাঁদের দুই পুত্রসন্তানও রয়েছে।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটে শুভেন্দু গড়ে থাকবেন অভিষেক, ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’-এর বড় চ্যালেঞ্জ
দোর্দদণ্ডপ্রতাপ নেতা হলেও নন্দীগ্রাম পরবর্তী সময় ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন লক্ষ্ণণ। দল বিরোধী কাজের অভিযোগে ২০১৪ সালে লক্ষ্মণকে বহিষ্কার করে সিপিআইএম। এর পর তিনি নিজের একটি দল গঠন করেছিলেন। এরপর তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। ২০১৮ সালে বিজেপিও তাঁকে বহিষ্কার করে। এর পর ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের সহসভাপতি লক্ষ্ণণ শেঠ।