স্বামী-স্ত্রী দু'জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই নিয়ম করে ঢুকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। শুনতে অবাক লাগলেও এই ঘটনাই ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের অন্দরে। রাজ্যের এই প্রকল্পের টাকা মহিলাদের অ্যাকাউন্টেই পাঠানো হয়। সেই টাকা কীভাবে এক পুরুষের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে? বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
Advertisment
মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের ভেড়ভেড়ি মানাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদের। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই দীর্ঘ সাত মাস ধরে ঢুকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ১ হাজার করে টাকা। আব্দুল পেশায় টোটো চালক। তাঁর ১০০ দিনের কাজের জব কার্ডও রয়েছে। ১০০ দিনের কাজের জন্যই ৫০০ টাকা দিয়ে বছর খানেক আগে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন আব্দুল।
সম্প্রতি তিনি তাঁর ব্যাঙ্কের পাসবুক আপডেট করাতে গিয়েছিলেন। তখনই জানতে পারেন যে গত সাত মাস ধরে তাঁর অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা করে ঢুকেছে। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ১০০০ টাকা করে ঢুকেছে। সাত মাস ধরে তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সব টাকাই ইতিমধ্যেই আব্দুল তুলে নিয়েছেন। কীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্টে সরকারি ওই প্রকল্পের টাকা ঢুকল সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।
এবিষয়ে মাথাভাঙার পচাগড় পঞ্চায়েতের প্রধান উদয় সরকার জানান, একজন পুরুষ কি করে লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন, সে বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও এব্যাপারে তিনি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি। দলের জেলা সহ সভাপতি মনোজ ঘোষ বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা সরকারি কর্মীদের চাপ দিয়ে কাজ করাচ্ছে। তাই ভুল হচ্ছে। শাসকদলের জন্যই এই ভুল হচ্ছে। প্রশাসনের লোকেদের ফাঁসাতে চাইছেন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা।''