'এত মেরেছিল, সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারত না', সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ লালনের পরিবারের

সিবিআইয়ের শাস্তি চায় লালন শেখের পরিবার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Lalan Sheikh Death: Kin demands probe against CBI as he dies in custody

লালনের স্ত্রীর অভিযোগ, আমার বাড়ি শেষ করে দিয়েছে সিবিআই। ছবি- আশিস মণ্ডল

এত মেরেছিল, যে সোজা দাঁড়াতে পারত না লালন শেখ। সোমবার রাতে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে এই দাবি করেন লালনের দিনি সামসুন্নাহা বিবি। বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সোমবার বিকেলে। সিবিআই হেফাজতে তাঁর রহস্যমৃত্যুর জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

Advertisment

সিবিআইয়ের দাবি, গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন লালন। কিন্তু পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে লালনকে। সোমবার বিকেলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় লালনের দেহ। যা নিয়ে সিবিআইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সময় একজন মাত্র কেন্দ্রীয় জওয়ান মোতায়েন ছিলেন লালনের জন্য। নিরাপত্তায় এতবড় ফাঁক কী ভাবে প্রশ্ন উঠেছে।

লালনের মৃত্যুর পর শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর পরিবারে। লালনের দিদি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, "ওঁকে সিবিআই এত মেরেছিল য়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না। ওঁকে জল পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি। আমরা সিবিআইয়ের শাস্তি চাই।" লালনের স্ত্রীর অভিযোগ, "আমার বাড়ি শেষ করে দিয়েছে সিবিআই। ভাদুর ভাইরা আমাদের ফাঁসিয়েছে। আমার স্বামীকে মেরে দিয়েছে সিবিআই। আমার সামনে আজকে মারল। আমাকেও মেরেছে সিবিআই।"

Advertisment

আরও পড়ুন লালনের মৃত্যুর জেরে থমথমে রামপুরহাট, সিবিআই ক্যাম্পে বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ রাতে ভাদু শেখ খুন হন। তার পর ওইদিন রাতেই তাণ্ডব চলে বগটুই গ্রামে। বাড়িতেই জ্যান্ত পুড়িয়ে নৃশংস হত্যা করা হয় ১০ জনকে। তার মধ্যে শিশুও ছিল। এই ঘটনার বীভৎসতায় গোটা বাংলা কেঁপে উঠেছিল। তার পর ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার ৯ মাস পর মূল অভিযুক্ত লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

৬ দিনের হেফাজতে পাওয়ার পর তাঁকে অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু তিন দিনেরর মাথায় আচমকা মৃত্যু হল লালনের। যা নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বড় সড় প্রশ্ন উঠে গেল। যে কি না ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু, এবার তাঁর মৃত্যুর পর তদন্তের মোড় ঘুরে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

cbi Birbhum Violence Bogtui Horror