ফের ধ্বস অণ্ডালের কোলিয়াড়ি এলাকায়। শনিবার রাতে আচমকা ধস নেমে বিপত্তি। রবিবার সকালে ধস তীব্র আকার নেয়। প্রাণের ভয়ে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা। পুজোয় গোটা বাংলা আনন্দে মাতোয়ারা। তবে অণ্ডালের এই এলাকায় মন খারাপের ছবি। আচমকা বাড়ি ছেড়ে অথৈ জলে মুকুন্দপুর ৭ নং কোলিয়াড়ি আবাসনের বহু পরিবার।
Advertisment
শনিবার রাতে ইসিএলের কাজোরা এরিয়ার মুকুন্দপুর ৭ নম্বর কোলিয়াড়ি এলাকায় আচমকা ধস নামে। বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসের ফলে মাটি বসে যায়। এলাকার কয়েকটি আবাসনেও দেখা দেয় ফাটল। রবিবার ভোর রাতে সেই ধস বড় আকার নেয়। একাধিক আবাসনের দেওয়াল, ছাদ ফেটে যায়। তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় আবাসিকদের মধ্যে। খবর পেয়ে রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএলের আধিকারিক ও নিরাপত্তারক্ষীরা। বাসিন্দাদের দ্রুত আবাসন খালি করার অনুরোধ জানান তাঁরা।
এরপরেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে এলাকা ছাড়তে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আবাসিকদের মধ্যে। স্থানীয়রা জানান, ইসিএলের এই আবাসনগুলি পরিতক্ত। বহুবার আবেদন জানিয়েও থাকার জন্য বিকল্প জায়গা মেলেনি। বাধ্য হয়েই খনি শ্রমিকদের পরিবার পরিত্যক্ত ওই আবাসগুলিতে থাকছিলেন। এমনকী বেশ কয়েকটি বহিরাগত পরিবারও ওই আবাসনগুলিতে থাকেন। ইসিএলের কর্মী থেকে শুরু করে আবাসিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কোয়ার্টারগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। নতুন কোয়ার্টার পেতে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা টাকা চাইছেন বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের।
যদিও স্থানীয় শ্রমিক নেতা সাধন মাঝি, সত্যেন্দ্র যাদবরা টাকার বিনিময়ে কোয়ার্টারের ব্যবস্থা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে, মুকুন্দপুর কোলিয়াড়ির ম্যানেজার বিজয় চৌধুরী জানান, আবাসনগুলি বহুদিন আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও সেগুলি দখল করে রয়েছে বেশ কিছু পরিবার। বিপদ এড়াতে আবাসনে থাকা খনি কর্মীদের জন্য বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত এলাকার বাসিন্দাদের সংস্থার গেস্ট হাউসে রাখবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন