কাঁদিয়ে ছাড়ছে প্রবল গরম। ভ্যাপসা আবহাওয়ায় কালঘাম ছুটছে আট থেকে আশির। শহর থেকে জেলা, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে নাকাল রাজ্যবাসী। এই পরিস্থিতিতে আরও ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ! এবছর বাংলায় বর্ষার প্রবেশে বেশ খানিকটা দেরি হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের একাংশের। জ্বালাপোড়া এই গরম আরও ক'দিন জ্বালিয়ে খাবে বঙ্গবাসীকে, এমনই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।
সাধারণত কেরলে ১ জুন বর্ষা ঢোকে। দক্ষিণের এই রাজ্যে বর্ষার আগমনের এক সপ্তাহের মধ্যে বর্ষা ঢোকে বাংলায়। তবে এবার কেরলেই বর্ষার প্রবেশে দেরি হবে বলে আশঙ্কা। এখনও লক্ষাদ্বীপের কাছেই থমকে দাঁড়িয়ে রয়েছে বর্ষা। বর্ষা কবে ঢুকবে তার সবটাই এখন নির্ভর করছে আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের উপর।
আরও পড়ুন- বোনের বিয়ে দেখাই হল না কৃষ্ণের! বুক চাপড়ে অদৃষ্টকেই দুষছেন মা যশোদা
আবহাওয়াবিদদের একাংশের অনুমান, আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি অতি গভীর নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে। সেটা হলে তার হাত ধরেই কেরলে ঢুকবে বর্ষা। এরাজ্যের ক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগরে বর্ষা ঢোকার অনুকূল পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। সেই কারণেই বাংলায় বর্ষার প্রবেশের দিনক্ষণ নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা। সুতরাং বৃষ্টির জন্য হাপহিত্যেশ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া এখন আর উপায় নেই।
আরও পড়ুন- ‘বিমানে বোমা’, যাত্রীর চিৎকারে হুলস্থূল কলকাতা বিমানবন্দরে!
এদিকে, আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এই বৃষ্টিতে অশ্বস্তি কাটবে না। মঙ্গলবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের দুই জেলা দার্জিলিং-কালিম্পং এবং কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারেও। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েকের মধ্যে দহনজ্বালা জুড়োনর সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন- ‘বউমার ডাক পড়েছে, ঘর সংসার এবার জেলে’, মমতাকে মারকাটারি কটাক্ষ দিলীপের
বরং আগামী কয়েকদিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। উত্তরবঙ্গের মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের জেরে জেরবার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।