ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার সিবিআই হাজিরা দুই তৃণমূল বিধায়কের। এঁদের মধ্যে এক বিধায়ক অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। শনিবার দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অস্থায়ী ক্যাম্পে এই দুই তৃণমূল বিধায়ক হাজিরা দিয়েছেন। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আগেই তৃণমূলের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিং এবং কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহেনওয়াজকে সমন পাঠিয়েছিল সিবিআই। সেই সমন পেয়েই শনিবার সকালে সিবিআই হাজিরা দুই বিধায়কের।
দিন কয়েক আগেই এই একই মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। একটানা সাড়ে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল অনুব্রতকে। সেই একই মামলায় তলব করা হয়েছিল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিত্ সিংকেও। তলব করা হয়েছিল কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজকেও। সেই তলব পেয়েই শনিবার সকালে হাজিরা দিতে পৌঁছে যান দুই তৃণমূল বিধায়ক।
আরও পড়ুন- ‘শিল্পতো আগেই ভাগিয়েছিলেন, KK-র মৃত্যুর পর শিল্পীও ভাগালেন’, বেনজির আক্রমণ শুভেন্দুর
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এরাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তেমনই একুশের ভোট পরবর্তী 'হিংসা' মামলারও তদন্তের ভারও কেন্দ্রীয় এই সংস্থার হাতে। এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, তৃণমূল নেতা অরূপ মিধ্যা-সহ বেশ কয়েকজনকে তল করেছিল সিবিআই। প্রায় ৮ জন বিধায়ক ও তৃণমূল ব্লক সভাপতি-সহ শসাকদলের একাধিক নেতা কর্মীকে দুর্গাপুরে সংস্থার অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
শনিবার সকালে লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ ও পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ সিবিআইয়ের দুর্গাপুর এনআইটি'-র অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছে যান। যদিও তাঁদের ঠিক কী কারণে তলব করা হয়েছে, সেব্যাপারে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়নি বলেই দাবি করেছেন দু'জনে।