চিকিৎসার জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশে গিয়েছেন। কিন্তু, তাঁর অবর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেকের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনার ঝড় তোলে বিরোধী দলগুলো। বিশেষ করে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা গিয়েছে বামেদের মধ্যে। তার মধ্যেই সোমবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের নজর কাড়ে। সেই মন্তব্যে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক 'পতিতা' শব্দের ব্যবহার করেছিলেন। যা নিয়ে দলের ভিতর ও বাইরে সমালোচিত হতে হয় সেলিমকে।
Advertisment
এরপর সেই অবস্থান থেকে পিছু হঠে সেলিম 'পতিতা' শব্দ বদলে তার স্থানে 'যৌনকর্মী' লেখেন। তারপরই দেখা গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু আইনি নোটিস পাঠালেন মহম্মদ সেলিমকে। সেই নোটিসে জানানো হয়েছে যে ক্ষমাপ্রার্থনা করে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মন্তব্যটি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদককে মুছে দিতে হবে। না-হলে, আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠিক কী লিখেছেন মহম্মদ সেলিম? তিনি লিখেছেন, 'সাংসদ তথা মাফিয়া ডনকে বিদেশে পালাতে সাহায্য করেছিল বিজেপি। কয়লা পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি- একাধিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সাংসদ তথা মাফিয়া ডন নিউইয়র্ক থেকে সেলফি শেয়ার করেছে। ১৫ জন বিদেশি যৌনকর্মীর মাধ্যমে টাকা পাচারে অভিযুক্ত। তাকে আবার দেশ থেকে পালাতে সাহায্য করেছিল বিজেপি নেতারা।'
অতি সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমেরিকা থেকে তাঁর সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। তার পরই সেলিম সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্য করেছেন। কয়লা পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ, অতীতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন বলে সিপিএম বারবার অভিযোগ করেছে। ফলে, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাঁর পোস্টে কারও নাম উল্লেখ না-করলেও তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেই পোস্টটি করেছেন বলে নেটিজেনদের ধারণা।
সেলিমের এই পোস্টের পর বুধবার তাঁর মোমিনপুরের বাড়ির কাছে গিয়ে যৌনকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান বলে বিভিন্ন মহলের দাবি। যদিও সেলিম নিজে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি সেই বিক্ষোভের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। আইনি নোটিস পাওয়ার পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্ট মুছে দেবেন কি না, সেই ব্যাপারেও সেলিম সংবাদমাধ্যমকে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু জানাননি।