৩ দিনের লুকোচুরি শেষ। এবার দু'চোখের পাতা এক করে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবেন মৈপীঠের ভুবনেশ্বরী গৌড়ের চক এলাকার বাসিন্দারা। জমিয়ে খেলা দেখিয়ে শেষমেশ জঙ্গলেই ফিরেছে দক্ষিণরায়। বাঘ ধরতে ফাঁদ পেতেছিলেন বনকর্মীরা। তবে ফাঁদে ধরা দেয়নি ডোরাকাটা। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বনকর্মীদের দিকে তেড়ে যায় দক্ষিণরায়। আতঙ্কে গাছে চড়ে বসেন বনকর্মীরা। জোর খেলা দেখিয়ে শেষমেশ নদী সাঁতরে জঙ্গলে ফিরেছে বাঘ।
Advertisment
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে সুন্দরবনের কুলতলিতে লোকালয়ে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গতকালও মৈপিঠের ভুবনেশ্বরী গৌড়ের চক এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বনদফতরে কর্মীরা গিয়েছিলেন। বাঘের আতঙ্কে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় জঙ্গল। রাতে জালের পাশে নতুন করে বাঘের আঁচড় লক্ষ্য করা যায়। বাঘ ধরতে ফাঁদ পাতেন বনকর্মীরা।
ছাগলের টোপ দিয়ে বাঘ ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বনকর্মীরা। শনিবার দিনভর বাঘ ধরতে নানা ফন্দি-ফিকির খুঁজে বেরিয়েছেন তাঁরা। রবিবারও এলাকায় বাঘ থাকার আঁচ পান তাঁরা। বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। বনদফতরের তরফে ব্যাঘ্র বিশারদদের খবর দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁরাও ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাঘ কাবু করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েন।
এরপর সোমবার সকালে জঙ্গল থেকে বেরিয়েই বনকর্মীদের দেখতে পায় দক্ষিণরায়। হুড়মুড়িয়ে বনকর্মীদের দিকেই ধাওয়া করে বিশালকায় বাঘ। আতঙ্কে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়েছিল বনকর্মীদের। কেউ কেউ দৌড়ে পালাতে সক্ষম হন। কয়েকজন বনকর্মী ভয়ে সিঁটিয়ে সামনে থাকা গাছে চড়ে বসেন।
যদিও আজ সকালেই জঙ্গল ছেড়ে লাগোয়া মাকড়ি নদীতে ঝাঁপ দেয় বাঘ। নাদী পেরিয়ে ফের সে ফিরেছে আজমলবাড়ি ৩ নম্বর জঙ্গলে। বনদফতরের এক আধিকারিক বলেন, "আমাদের অভিযান সফল হয়েছে। বাঘ ফের নদী সাঁতরে আজমলবাড়ি ৩ নম্বর জঙ্গলে ফিরে গেছে।"