নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং ও এস এন ব্যানার্জি রোড। বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের মিছিলের উপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকল বামফ্রন্ট। রাজ্যের সর্বত্র আগামিকাল ধিক্কার দিবস পালিত হবে। বামেদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে জোটসঙ্গী কংগ্রেসও। শুক্রবার সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বনধ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন।
এদিন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, ”নির্মমভাবে আমাদের তরুণ কর্মীদের মারধর করেছে পুলিশ। কেন এমনটা হবে? পুলিশ যে অত্যাচারীর ভূমিকা নিয়েছে, তা নিন্দনীয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বন্ধ ডাকা হয়েছে বামপন্থী সংগঠনগুলির তরফে।” তিনি রাজ্যের সমস্ত বর্গের মানুষের কাছে এই বনধ সফল করার জন্য আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, এদিন ১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয়। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, লাঠিচার্জ করে। ইট নিক্ষেপকারীদের নিরস্ত করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। আহত হয়েছেন একাধিক আন্দোলনকারী। ইটের ঘায়ে আহত হয়েছেন বেশ কিছু পুলিশকর্মী।
কর্মসংস্থান, শিক্ষা, রাজ্যে নতুন শিল্প-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় ১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন থেকে আজ দুটি মিছিল আসে কলেজ স্ট্রিটে। তারপর দুপুর ১টায় সেখান থেকেই শুরু হয় নবান্ন অভিযান। কিন্তু ধর্মতলার কাছে ডোরিনা ক্রসিংয়ের কাছে এই মিছিল আটকাতে সমস্ত রকমের পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তারপর মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। তারপর ব্যাপক লাঠিচার্জ-জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া হয় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে।