বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ 'বলপ্রয়োগ' করে করুণাময়ী থেকে টেটে উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের হঠিয়ে দিয়েছিল। এরপর পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। প্রতিবাদে মুখর হয় রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। করণাময়ীর ঘটনার বিরুদ্ধে মিছির করে সোচ্চার হতেই সিটিসেন্টার থেকে আটক করা হয়েছিল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ একঝাঁক বাম ছাত্র, যুবকে। ওই দিনই বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছিলেন বাংলার বিদ্বজ্জনদের বেশ কয়েকজন। কিন্তু, বিদ্বজ্জনদের একযোগে প্রতিবাদ কোথায়? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
Advertisment
শনিবার কলকাতায় পথে নামতে দেখা গেল বিদ্বজ্জনদের একাংশকে। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পবিত্র সরকার, দেবজ্যোতি মিশ্র, মন্দাক্রান্ত সেন, বাদশা মৈত্র, শ্রীলেখা মিত্ররা। সকলেই বাম মনস্ক বলে পরিচিত। ছিলেন বাম নেতৃত্বের অনেকেই। প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যাম বিমান বসু সহ একাধিক বাম নেতা, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানরা। মিছিল হয় ভিক্টোরিয়া হাইস থেকে নন্দন পর্যন্ত।
বাদশা মৈত্র বলেন, 'যাঁরা অন্যায় করল, তাঁরাই আজ পুলিশ পাঠিয়ে নায্য চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তা থেকে তুলে দিচ্ছে। এটা চলতে পারে না। টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়া হল, সেই সব অযোগ্য, দুর্নীতিমনস্ক শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রী পড়াবেন, এটা হতে পারে?'
তবে এই প্রতিবাদ মিছিলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বলেছেন 'এটা বুদ্ধীজীবীদের নয়, বামেদের মিছিল। সমাজে এঁদের গুরুত্ব নেই। বামেদের তো বিধানসভায় আসনও নেই। বুদ্ধীজীবীতার নাম করে আসন আনাও সম্ভব নয়। গুলিতো চালায়নি, অবরোধ তুলেছে পুলিশ, সরকার ঠিক করেছে।'