শুক্রবার সকালে নকশালবাড়ি ব্লকের গঙ্গারাম চা বাগান সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে থেকে একটি চিতাবাঘের ক্ষতবিক্ষত দেহটি উদ্ধার করল বনদফতরের বাগডোগরা রেঞ্জের বনকর্মীরা। চলতি বছরে এই এলাকাতেই জাতীয় সড়কের ওপর গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গঙ্গারাম চা বাগানের একজন নিরাপত্তা রক্ষী জাতীয় সড়কের উপর চিতাবাঘটির ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান। এরপরই তিনি খবর দেন চা বাগান কর্তৃপক্ষকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান চা বাগানের ম্যানেজার কুলদীপ মিঞ্জ। তিনি বনদফরে খবর দিলে বাগডোগরা রেঞ্জের বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে চিতাবাঘের দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চিতাবাঘটির বয়স আনুমানিক এক বছর। জাতীয় সড়ক পারাপারের সময় কোনভাবে গাড়ির সামনে চলে আসে। গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় এই চিতাটি। এর আগেও ওই এলাকায় একই ঘটনা ঘটেছে।
চা বাগানের ম্যানেজার কুলদীপ মিঞ্জ বলেন, "মাঝেমধ্যেই এলাকায় চিতাবাঘের দেখা মেলে। একাধিকবার গ্রাম থেকে ছাগল, শুয়োর নিয়ে গিয়েছে। একাধিক চিতাবাঘ রয়েছে এই চাবাগান এলাকায়। আতঙ্কের মধ্যেই থাকতে হয় আমাদের। কিন্তু এখন বিষয়টি সয়ে গিয়েছে।" কার্শিয়াং ফরেস্ট ডিভিশনের ডিএফও হরি কৃষ্ণাণ বলেন, "কী করে ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকায় চিতাবাঘের হানা রুখতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। "
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি বাগডোগরার গয়াগঙ্গা চা বাগান ঘেষা এলাকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে একইভাবে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল একটি চিতাবাঘের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন