করোনার প্রকোপ বেড়েছে। সোমবার থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি হচ্ছে নয়া বিধিনিষেধ। লোকাল ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে জারি হল নিয়ন্ত্রণ। তবে দূর পাল্লার ট্রেন চলাচলে কোনও বাধা নেই।
লকডাউনের সময় ট্রেনের চাকায় গড়ায়নি। গত বছর মার্চ-এপ্রিলে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রাজ্যে লোকাল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালু হয়। শেষ পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে লোকাল ট্রেন সম্পূর্ণ সচলের অনুমতি দেয় নবান্ন।
তবে এবার লোকাল ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হবে না বলেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতই নির্দেশিকায় উল্লেখ লোকাল ট্রেন চলাচল জারি থাকবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচল করতে পারবে। রবিবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও এই ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন- সোমবার থেকেই বাংলায় জারি করোনা বিধিনিষেধ, একনজরে কী খোলা-কী বন্ধ?
মেট্রো চলাচলেও কী তাহলে একই নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হবে? মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, মেট্রো শহরের যাতায়াতে অন্যতম লাইফলাইন। ভিড় এড়াতে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ছুটবে মেট্রো। তবে এক্ষেত্রে কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। কলকাতা মেট্রো যে সূচি মেনে চলে সেটাই চালু থাকবে। মেট্রো সূত্রে খবর, সম্প্রতি করোনা নিয়ন্ত্রণে আসতে যে টোকেন পরিষেবা ফেরানো হয়েছিল, তা বন্ধ করা হবে। চালু থাকবে কেবল স্মার্ট কার্ড পরিষেবা।
এছাড়া বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্র জারি হচ্ছে। ব্রিটেন সহ ওমিক্রনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে দমদমে বিমান অবতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ করল রাজ্য। ইতিমধ্যেই সেকথা অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকে জানানো হয়েছে। বিদেশ ফেরতদের ১০০ শতাংশ ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হল।
মুম্বই, দিল্লি থেকে কলকাতায় বিমান নামবে সপ্তাহে ২ দিন। ওই দুই শহর থেকে কলকাতায় বিমান ওঠানামা করবে কেবল সোমবার ও শুক্রবার। ডোমেস্টিক সব উড়ানের ১০ শতাংশ যাত্রীর আরটি-পিসিআর বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরা ও দূরত্ববিধি বজায় রাখাকে আবশ্যিক করতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। পুলিশের তরফে রয়েছে নজরদারি। মুখ্যসচিব এদিন জানিয়েছেন মাস্ক না পরলে এবার কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। বাড়ানো হয়েছে নাইট কারফিউয়ের সময়সীমা। সোমবার থেকে রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে।