করোনাকালে একটানা ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকেই রাজ্যজুড়ে চালু লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলাচলে ছাড় রাজ্য সরকারের। ট্রেনের কামরায় যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব-বিধি বজায় রাখতে দু’টি আসনের মধ্যে ক্রস চিহ্নযুক্ত স্টিকার লাগানো হয়েছে। একইসঙ্গে ট্রেনের কামরা ও স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের সজাগ রাখতে করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারও চলছে।
Advertisment
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই চলতি বছরের ৫ মে থেকে ফের রাজ্যে বন্ধ হয়ে যায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা। প্রথমে একটানা দু'সপ্তাহের জন্য লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখলেও পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে সেই মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। এদিকে, লোকাল ট্রেন বন্ধে ঘোর-বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। বিশেষ করে মফস্বলের এলাকাগুলিতে দারুণ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে বহু মানুষকে। পরবর্তী সময়ে লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে একের পর স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ চরমে ওঠে।
লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও রেলের কর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের যাতায়াতের জন্য স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালু রাখে রেল। সেই ট্রেনে সাধারণ যাত্রীরা উঠতে গেলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে একাধিকবার। আরপিএফ ও জিআরপি-র কর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয়েছে একাধিক স্টেশনে।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করায় ফের লোকাল ট্রেন চালু নিয়ে আলোচনা চলে নবান্নে। শেষমেশ শুক্রবার নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়, করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে। তারপর সব ক্ষেত্রেই কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলাচলেও সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে দীর্ঘদিন পর ফের রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ায় স্বভাবতই খুশি নিত্যযাত্রীরা। তবে পুজোর পর থেকে রাজ্যে ফের একদফায় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফেও বাংলায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। করোনা-জব্দে ফের এলাকা ধরে ধরে কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। সেই এলাকাগুলিতে চলছে কড়া নজরদারি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনগণকে আরও বেশি সচেতন করতে চলছে প্রচার।
লোকাল ট্রেন চালু হতেই স্বস্তি যাত্রীদের।ছবি: পার্থ পাল
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন