দীর্ঘ আট মাসের প্রতীক্ষার অবসান। বুধবার সকালে বঙ্গ গড়াল বহু প্রতীক্ষীত লোকাল ট্রেনের চাকা। করোনাতঙ্কের জেরে দীর্ঘ আট মাস বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তারপর ধীরে ধীরে দেশে আনলক প্রক্রিয়া শুরুর পর চালু গণপরিবহণ ব্যবস্থা। কিন্তু লোকাল ট্রেন চালু হয়নি। রেলের কর্মীদের জন্য স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চললেও নিত্যযাত্রীদের জন্য লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল। একাধিক বার নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে আরপিএফের খণ্ডযুদ্ধ হয় স্টাফ ট্রেনে ওঠা নিয়ে। অবশেষে রাজ্য-রেল বৈঠকের পর আজ, বুধবার ফের চালু হল লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
এদিন সকাল থেকে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের লাইন চোখে পড়েছে। তবে অন্যান্য স্টেশনগুলি মোটামুটি ফাঁকাই ছিল। হাওড়া এবং শিয়ালদহগামী ট্রেনে খুব বেশ ভিড় নজরে আসেনি। মাস্ক বাধ্যতামূলক ছিল প্রত্য়েক যাত্রীর জন্য। এদিন প্রত্যেক স্টেশনে আরপিএফ কর্মীরা কড়া অনুশাসনের মধ্যে যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করেছেন। প্রত্যেক স্টেশনের প্রবেশ ও বাহির পথ ঘিরে ফেলা হয়। কোথাও সেভাবে কোনও সমস্যার খবর আসেনি। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সকাল থেকে মস্ণভাবেই চলছে পরিষেবা।
রেলসুত্রে খবর, প্রতিদিন রাজ্যে ৬৯৬টি ট্রেন চলবে। শিয়ালদা ডিভিশনে চলবে ৪১৩টি ট্রেন, শিয়ালদা উত্তর ও মেইন শাখায় চলবে ২৭০টি ট্রেন, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় চলবে ১৪৩টি ট্রেন, হাওড়া স্টেশনে ২০২টি ট্রেন, বাকি ৮১টি ট্রেন চলবে খড়গপুর ডিভিশনে। এ খবরে রেল যাত্রীরা খুবই খুশি। করোনা সংক্রান্ত সমস্ত বাধানিষেধ মেনেই যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে হবে। করোনা পরিস্থিতির জন্য মাস্ক-স্যানিটাইজার ইত্যাদি বাধ্যতামূলক করা হয়ে সমস্ত ষ্টেশনগুলোতে।