হাসপাতালের হোডিংও বদলে গিয়েছে রাতারাতি। বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণ হয়েছে যাদবপুরের মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপের নামে। যা নিয়েই বিরাট শোরগোল। নামকরণ মেনে নিতে পারছেন না বগুলাবাসীদের একাংশ। শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এমনকী হাসপাতালের নামের তোরণও উপড়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবে নামকরণ পুরনো হাসপাতালের ঐতিহ্যে আঘাত বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের!
চলতি সপ্তাহে সোমবার যাদবপুরের মৃত ছাত্রের মা, বাবার সঙ্গে নবান্নে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, নদিয়া জেলার বগুলা গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নামকরণ হবে মৃত ছাত্র নামে। ওই হাসপাতালেই বসবে মৃত ছাত্রের মূর্তিও। এরপরই প্রশানিক নির্দেশ মতো তড়িঘড়ি কাজ শুরু হয় হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত, বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম হয় স্বপ্নদীপ গ্রামীণ হাসপাতাল।
আরও পড়ুন- ‘মানুষ হাফ ও ফুল মার্ডার করা হয়’, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে ‘সুপারি কিলিং’য়ের বিজ্ঞাপন, ধৃত ক্যানিংয়ের বুলেট
যা দেখেই রাগে ফেটে পড়েন বগুলাবাসীদের একাংশ। বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। স্বপ্নদীপ গ্রামীণ হাসপাতালের নামের উপর রঙ লেপে দেওয়া হয়। তোরণও ভেঙে দেওয়া হয়।
কেন এই বিক্ষোভ? অসন্তুষ্টদের কথায়, ওই হাসপাতালের সঙ্গে বগুলার আবেগ জড়িয়ে আছে। তাই 'বগুলা' কোনওভাবেই বাতিল করা যাবে না। বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রয়োজনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদল করে স্বপ্নদীপের নামে রাখা হোক। কিন্তু বগুলা বাদ দিয়ে গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণ হবে না। হাসপাতাল সুপার বীরেন মজুমদার বলেছেন, 'স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে নির্দেশিকা এসেছিল, সেই মোতাবেক কাজ করেছি। কেউ নাম মুছে দিলে আমাদের কিছু করার নেই।'