এক শহরের দুই ছবি। জলপাইগুড়ির লকডাউন এলাকায় আইন কার্যকরী করতে দিনভর চলল পুলিশের দৌড়ঝাঁপ ও লাঠিপেটা। অথচ লকডাউন বিহীন এলাকায় চলে অঘোষিত বন্ধ।
মঙ্গলবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিপরীত ধর্মী দুই ছবি দেখা গেল জলপাইগুড়িতে। একদিকে লক ডাউন এলাকায় দাবাং স্টাইলে দেখা গেল জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগন্নাথরাও শ্রীকান্ত ইলওয়াডকে। তিনি লাঠি পেটা করে এলাকা ছাড়া করলেন অত্যুৎসাহী মানুষদের। অপরদিকে নিজেদের এলাকায় লকডাউন চেয়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন সংলগ্ন বাজার এলাকা অঘোষিত বনধের চেহারা নিল।
সকাল থেকে জলপাইগুড়ি শহরের লকডাউন এলাকায় খানিক রাস্তা ফাঁকা থাকলেও বেলা গড়াতেই প্রচুর মানুষ রাস্তায় ভিড় করতে থাকে। লকডাউন আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যে যাঁর মত চলতে থাকে শহরজুড়ে। গত রবিবার থেকে পুলিশের মাইকিং, এরপর গতকাল র্যাফের রুট মার্চকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষ রাস্তায় ভিড় জমায়।
এদিন শহরে অতি অত্যুৎসাহীরা রাস্তায় ভিড় জমাতে থাকে। এই অবাঞ্ছিত জমায়েত হঠাতে লাঠি পেটা করতে একপ্রকার বাধ্য হয় পুলিশ। জলপাইগুড়ির ২৫টি ওয়ার্ডেই টহল দেয়। এএসপি জগন্নাথরাও শ্রীকান্ত মঙ্গলবার সারাক্ষণই রাস্তায় দৌড়ঝাঁপ করে কাটিয়ে দেন। রবিবারও দিনভর তাঁকে রাস্তায় দেখা যায়। এক হাতে লাঠি নিয়ে ছুটলেন শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। এভাবেই তিনি ঠান্ডা করলেন শহর।
অপর দিকে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন সংলগ্ন ডেঙ্গুয়াঝাড় বাজার এলাকায় উল্টো ছবি। করোনার আতঙ্কর জেরে নিজেরাই দোকানপাট বন্ধ রেখে কার্যত লক ডাউন রাখল এলাকা। রাস্তাঘাট ফাকা হয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের ঘরবন্দি করে রাখে।