সাপ্তাহিক লকডাউনের প্রথম দিন কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যত্র কড়া নজরদারি ছিল পুলিশের। নাকা চেকিং, পুলিশ জানতে চেয়েছে কি কারণে রাস্তায় বেরিয়েছেন, খুব দরকারি কাজ না হলে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। যেক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ করা উচিত তাও করেছে। সাপ্তাহিক লকডাউনের প্রথম দিন রাজ্যজুড়ে বনধের চেহারা নিয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে বৃহস্পতিবারের লকডাউনে বন্ধ ছিল দোকান-পাট। ছবি- শশী ঘোষ
করোনা আতঙ্কে এবার মানুষ কী সত্যি ভয় পয়েছে? তা নাহলে মিটিং, মিছিল, বাজারে ভিড়, রাস্তায় গাড়ির লাইন সবই বন্ধ হয়ে গেল বৃহস্পতিবারের ঘোষিত লকডাউনে? রাস্তা শুনশান, প্রায় জনমানব শূণ্য এরাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েক দিন ধরেই প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ২হাজারের কম হচ্ছে না। বরং নিত্য-নতুন রেকর্ড হচ্ছে করোনা সংক্রমণে। প্রথমত পুলিশের কড়া নজরদারি আর মানুষের আতঙ্ক দুইয়ে মিলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই লকডাউন সফল একথা বলা যায়।
লকডাউনেে রাস্তায় স্বাস্থ্য কর্মীরা। ছবি- শশী ঘোষ
এদিন সকাল থেকে নাকা চেকিং শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কেন রাস্তায় বেরিয়েছেন সেই প্রশ্নের সদুত্তর না মিললে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থাও নিয়েছে। কলকাতার বেশিরভাগ থানা এলাকায় ড্রোন-এর মাধ্যমে লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। মূলত গলির রাস্তায় কেউ রয়েছে কীনা তা দেখতেই ড্রোনের ব্যবহার করে পুলিশ। কলকাতা ছাড়া জেলাগুলিতেও লকডাউন সামলাতে রাস্তায় নেমেছে পুলিশ। বিনাকারণে বাড়ির বাইরে বেরনোয় এদিন পুলিশকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতেও দেখা গিয়েছে। অনেককে আবার বুঝিয়ে বাড়ি ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- তৃণমূলে ব্যাপক রদবদল, পদ খোয়ালেন বহু নেতা
তবে বৃহস্পতিবারের দৃশ্য প্রথম দিকের কড়া লকডাউনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এরাজ্যেও আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষও যে আতঙ্কিত এদিনের রাজব্যাপী চিত্রে তা স্পষ্ট হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ার সংখ্যাটা ছিল নিতান্তই কম। ফের শনিবার রাজ্যব্যাপী লকডাউন হবে। পরের সপ্তাহে বুধবার লকডাউনের কথাও ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে একই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন শহর এলাকায় ৭ দিনের লকডাউন কোথাও শুরু হয়েছে, কোথাও বা শুরু করার দিন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন