থমথমে রিষড়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শ্রীরামপুর থেকেই জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। মঙ্গলবার শ্রীরামপুরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোকে। দুপুরে দিল্লি রোডে ডানকুনি জগন্নাথপুরে আটকানো হয়েছিল সুকান্তকে। সাময়িক পথ অরোধ করেই ফিরে আসেন তিনি। এরপরই বালি স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে রিষড়া পৌঁছে যান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ফলে কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘দুর্বৃত্তদের হাতে আইন তুলে নিতে দেব না’, রিষড়ায় কড়া বার্তা রাজ্যপাল আনন্দ বোসের
কিন্তু রিষড়া স্টেশনের লেভেল ক্রসিংয়েই আটকে দেওয়া হয় হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। পুলিশ জানায়, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় অশান্তি এলাকায় যেতে পারবেন না লকেট। যা শুনেই রনংদেহী হয়ে ওঠেন সাংসদ। পুলিশের সঙ্গে তীব্র বচসা জডা়ন লকেটের। তাঁর প্রশ্ন, ১৪৪ ধারা বলবৎ মানে পাঁচ জনের বেশি একসঙ্গে জড়ো হওয়া যাবে না। কিন্তু তাঁদের মাত্র দু’জন যাওয়ায় পুলিশের কোথায় আপত্তি?
আরও পড়ুন- থমথমে রিষড়ায় রাজ্যপাল, বন্ধ দোকানপাট, স্থানীয়দের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট
পুলিশ সাংসদকে বাধা দিতে অনড় ছিল। অন্যদিকে রিষড়ায় প্রবেশে অনড় মনোভাব দেখান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। উপয়পক্ষের ‘টাফ টক’-এর পর বিকেল ৪.২০ নাগাদ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় তাঁর অনুগামীদের নিয়ে রিষড়া প্ল্যাটফর্মের উপর বসে পড়েন।
স্টেশন থেকেই লকেট বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা বিপদে আছেন। বিজেপি নেতারা গেলেই কেন শুধু ১৪৪ ধারা। উনি উস্কানি দিচ্ছে। হনুমান জয়ন্তীতেও উনি অ্যালার্ট করেছেন। ফলে আপনারা সকলে সতর্ক থাকবেন। ওরা আবার বৃহস্পতিবার ঝামেলা করতে পারে।’
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘লকেট গতকাল দেবশ্রী চৌধুরীর কাছে অপমানিত হয়েছেন। সেটা ওঁর হজম হচ্ছে না। তাই বাংলায় ফিরে নাটক করতে শুরু করেছেন।’