/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/03/Election-Commission-Chief-Election-Commissioner-Rajiv-Kumar.jpg)
Election Commission PC: সাংবাদিক বৈঠকে জেপুটি ইলেকশন কমিশনার ধর্মেন্দ্র কুমার ও মুখ্য ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার। (ডান দিক থেকে) ছবি- পার্থ পাল
Election Commission On Lok Sabha Election 2024: ভোট মানেই বাংলায় চরম উত্তেজনা। হিংসা, রক্তপাত! সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ কলকাতায় এসেছে। কথা হয়েছে, সব মুখ্যসচিব, ডিজি সহ সব জেলায় ডিএম ও এসপি-দের সঙ্গে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিরও বক্তব্য ও অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছে কমিশন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শহরের এক হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কমিশনের তরফে জানানো হয়, ভোট পূর্ববর্তী এবং ভোট পরবর্তী হিংসা রোখার চেষ্টা করা হবে। অর্থ ও পেশিশক্তির প্রলোভন রুখতে সক্রিয় হবেন তাঁরা। ভোটে নজরদারিতে এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির শরণাপন্ন হতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কোনও মতেই অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।
একনজরে কী বলেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার?
- 'বাংলা বিখ্যাত ১২ মাসে ১৩ পার্বণের জন্য। সেখানে ১৪-তম উৎসব হতে চলেছে ভোট। সকলকে এই উৎসবে শামিল হওয়ার আর্জি জানাচ্ছি। এখানে ভয়মুক্ত হয়ে যাতে প্রত্যেক নাগরিক উৎসবের মেজাজে ভোট দিতে পারেন সেটাই কার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
- 'প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই আমাদের জানিয়েছে, তাঁরা অবাধ শান্তিপূর্ণ ও হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। আমলাতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রে এখানে পক্ষপাতিত্ব করা হয়। এটা আমাদের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই বলেছে। কমিশনের বদলির যে নিয়ম রয়েছে, সেটা সঠিকভাবে মান্যতা পাক। একটা সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা একটু গন্ডগোলের, সেই বিষয়টির ওপর জোর দিচ্ছে কমিশন।'
- 'ভোট পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পর্যায়ের হিংসাকে কড়া হাতে দমন করা হবে। কোনও রকমের সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে থাকবে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা।'
- 'বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তরফ অভিযোগকরা হয়েছে যে, নির্বাচনে কিছু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে চান, সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হতে বাধা দেন, কোথাও কোথাও বোমাবাজি, শ্লীলতাহানি, প্ররোচনা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। সেবিষয়গুলোর ওপর নজর দেওয়ার কথা বলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আমাদের কাছে রাজনৈতিক দলগুলি দাবি জানিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো যাতে অনেক বেশি করে বেশি জায়গায় লাগানো যায়। র্যালির ক্ষেত্রে যে অনুমতি দেওয়া হয়, তা যেন মান্য করা হয়।'
- 'ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আরও বেশি করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে হবে। আর পর্যবেক্ষকদের যোগাযোগের নম্বর সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে দেওয়া হোক, এই দাবি জানানো হয়েছে। সেটা মান্যতা দেওয়া হবে।'
- 'রাজ্যে যাঁরা চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন, যেমন গ্রিন পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়রদের যাতে ভোটের কাজে ব্যবহার করা না হয়, বুথ থেকে বাইরে যাতে বার করে দেওয়া না হয়, সেই বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।'
- 'আমি একটা বিষয়ই সুনিশ্চিত করে বলে দিতে চাই, কোনওভাবেই নির্বাচনে কোনওরকমের হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। টাকার খেলাও বরদাস্ত করা হবে না। ভোটার উৎসবের মেজাজে ভোট দেবে, এটাই প্রশাসন ও আমাদের নিশ্চিতভাবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।'
- 'কিছু রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়েছে, যাতে নির্বাচনকে এক দফায় করানো যায়। আধার কার্ড যদি বাতিলও হয়ে যায়, তাতে ভোটে কোনও প্রভাব না পড়ে, ভোটিং মেশিনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে। এই দাবিগুলোও রাজনৈতিক দলের তরফে বলা হয়েছে।'
- 'আমরা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার যেন তাঁদের অধঃস্তনদের এক্ষেত্রে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। যদি তাঁরা করেন তো ভালো, না হলে আমরা তাঁদের দিয়ে করিয়ে নেব।'
- 'বাহিনীকে মোতায়েন করার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের এবং জেলার নোডাল অফিসার অর্থাৎ জেলাশাসকের। তার সঙ্গে কমিশন নিয়োজিত একজন অফিসার থাকেন। তাঁরাই উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা বাছাই করে বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্বে থাকেন। জেলায় বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্বে থাকেন ডিওম, এসপি ও কমিশনের জেলাস্তরের পর্যবেক্ষক। আমরা সবস্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বলেছি, নিজের কাজ পালন করতে। ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার কাজ সুনিশ্চিত করতে হবে।'
- 'বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও অ্যাপ চালু করছে কমিশন। সেখানে দ্রুত অভিযোগ জানানো যাবে।'
- 'সিটিজেন্স ভিজিলেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অভিযোগ ছবি তুলে কিংবা লিখে পাঠিয়ে দেবেন। লোকেশন আমরাই খুঁজে নেব। কোথাও বুথে, ভোটকেন্দ্রে কোনও বেনিয়ম হচ্ছে কিনা, তা দেখলেই আমাদের এখানে জানান।'
- 'নজরদারির জন্য ২২টা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে এবার পোর্টাল তৈরি হচ্ছে।'