Cyclone Remal Update: বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল'। আবহাওয়ার ভোলবদলে আর বেশি দেরি নেই, এমনই আশঙ্কা বাড়ছে। তবে এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারও চলছে জোরকদমে। চূড়ান্ত সতর্ক তৃণমূল। বিকেলের দিকের সভা এগিয়ে নিয়ে আনা হল সকালেই। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের সেই সভা থেকে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর আবেদনের পাশাপাশি ঝড় নিয়েও সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কাকদ্বীপের কালীগিরি ময়দানের সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী এদিন বলেন, "আবহাওয়া ভালো না থাকায় সকালেই সভা করতে হল। এই মিটিং বিকেলে ছিল। সন্দরবন এলাকাকে প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়তে হয়। আমারা মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করি। তবে এবার এত বেশি সময় ধরে ভোট চলছে যে আমাদের হাত-পা বাঁধা রয়েছে এখনও। ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে। যাঁরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তাঁদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। কিছু হলে প্রশাসন আছে।"
আরও পড়ুন- Cyclone Remal: দুরন্ত গতিতে এগোচ্ছে ‘রেমাল’, কাঁপছে বাংলা! লণ্ডভণ্ড হবে কলকাতাও? তুফানি দুর্যোগ কবে?
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রিমেল আশঙ্কা বেড়ে চলায় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদেরও আরও বেশি সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রশাসন আগাম কী কী ব্যাবস্থা নিয়েছে সেব্যাপারেও এদিন খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুন্দরবন এলাকার ফ্লাড সেন্টার, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে রেডি রাখা হয়েছে।
ঝড় নিয়ে আরও বড় কোনও আশঙ্কার খবর মিললেই সেখানে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনদের সরিয়ে আনা হবে। সুন্দরবন এলাকায় শতাধিক বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছ। সেখানে উপকূলের এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে এনে রাখা হয়। এবারেও দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়তেই সেই কেন্দ্রগুলি পরিস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কীকরণ প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। সমস্ত উপকূলীয় থানার পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনের তরফে শুরু করা হয়েছে মাইকিং। মাইকিং-এর মাধ্যমে উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। মজুত রাখা হচ্ছে শুকনো খাবার ও পানীয় জল। কাকদ্বীপে মহকুমা শাসকের দফতরের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Bangladesh MP Murder: বাংলাদেশের সাংসদ খুনে রোমহর্ষক কাহিনী! বলিউড সিনেমাকেও হার মানাবে, CID যা বলল…