Adhir Ranjan Chowdhury-Baharampore: একটানা পাঁচবারের সাংসদ কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুর কেন্দ্র থেকে ১৯৯৯ সালে লোকসভায় প্রথম জয়। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি আজকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। বহরমপুর কেন্দ্র থেকে পরপর পাঁচবারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এবারও প্রার্থী হয়েছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অধীর। তবে এবার তাঁর লড়াইটা শুরু থেকেই বেশ কঠিন ছিল।
একুশের বিধানসভা নির্বাচন ধরলে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির দখলে চলে গেছে। বহরমপুর রয়েছে বিজেপির দখলে। বাকি ৬ বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে তৃণমূলের দখলে।
লোকসভার লড়াইটা যে কঠিন হবে, তা বিলক্ষণ জানতেন অধীর। সেই বুঝেই নির্বাচনী রণকৌশলে তৈরি করেছিলেন। বহরমপুরের মাটি কামড়ে থেকে প্রচার চালিয়েছিলেন দাপুটে এই রাজনীতিবিদ। অধীরের হাতের তালুর মতো চেনা বহরমপুর। তবে গত কয়েকবছরে এখানে কংগ্রেসের শক্তি আগের চেয়ে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কংগ্রেসের ঘর ভাঙিয়ে দিনে দিনে শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: কেন্দ্র পাল্টাতেই ঘোল খেলেন, তর্জন গর্জনই সার! লোকসভায় আর পা রাখা হল না দিলীপের
সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই বহরমপুরে কংগ্রেসের এই ভরাডুবি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বহরমপুর কেন্দ্র থেকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে হার প্রায় নিশ্চিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। বেলা চারটে পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, বহরমপুর থেকে অধীর চৌধুরী ৪২ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন- Lok Sabha Election Results 2024-West Bengal: মমতার ভরসা, অভিষেকের সেনাপতিত্বেই আস্থা বাংলার, সাফল্যের নেপথ্যে এই ৫ কারণ
এই কেন্দ্র থেকে সম্ভবত জয় প্রায় নিশ্চিত তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের। ইউসুফকে যখন শুরুতে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করে তখন জোড়াফুলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। জোড়াফুলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুন- Lok Sabha Election 2024 Result-West Bengal: ধোপেই টিকল না সন্দেশখালি কিংবা দুর্নীতি ইস্যু, মমতা ম্যাজিকে খড়কুটোর মতো উড়ল মোদীর গ্যারান্টি
ইউসুফ পাঠান বহিরাগত প্রার্থী তাই তাঁর হয়ে প্রচারেও থাকবেন না বলে জানিয়েছিলেন হুমায়ুন। যদিও মমতা, অভিষেকদের কড়া নির্দেশে তারপর ঘটে পরিস্থিতির বদল। ক্ষোভ ভুলে ইউসুফ পাঠানের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে শুরু করেন হুমায়ুন ও তাঁর অনুগামীরা। শেষমেশ বহরমপুরে ঐতিহাসিক পালাবাদল।