Abhijit Ganguly to sue ECI: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কু-কথার জন্য তাঁকে আগেই শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৫ মে ষষ্ঠা দফার ভোটগ্রহণের আগে মঙ্গলবার তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ২৪ ঘণ্টার জন্য সেন্সর করেছে কমিশন। যার জেরে বেজায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তন বিচারপতি। কমিশন নোটিসে অভিজিৎকে যে কথা লিখেছে তাতে মানহানি হয়েছে বলে দাবি তাঁর। অতঃপর কমিশনের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন প্রাক্তন বিচারপতি।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২৪ ঘণ্টা নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না, এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হচ্ছে সেই সময়সীমা। আজ বিকেল ৫ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা নির্বাচন নিয়ে কোনও ধরনের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না প্রাক্তন বিচারপতি, এমনই কঠিন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। এবিষয়ে তমলুকে তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য তাঁকে নজিরবিহীন কটাক্ষ করেছেন।
কয়েকদিন আগে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের হলদিয়ার একটি সভা থেকে অভিজিৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। ওই সভার একটি ভিডিওয় অভিজিৎকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত দামে বিক্রি হও? তৃণমূল বলছে, রেখা পাত্রকে কেনা হয়েছিল ২০০০ টাকায়! আর তোমার হাতে কেউ ৮ লক্ষ টাকা গুঁজে দিলে চাকরি হয়, কেউ ১০ লক্ষ টাকা দিলে রেশন হাওয়া হয়ে যায়! তোমার দাম ১০ লক্ষ টাকা কেন? তুমি কেয়া শেঠকে দিয়ে মুখে মেকআপ করাও বলে? আর রেখা পাত্র গরিব মানুষ, লোকের বাড়িতে কাজ করে, আমাদের প্রার্থী। তাই তাঁকে ২০০০ টাকায় কেনা যায়!’’ মমতাকে আক্রমণ করে অভিজিৎ এ-ও বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী আদৌ মহিলা কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে তাঁর।
আরও পড়ুন Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর কোলাঘাটের বাড়িতে পুলিশের হানা, ‘মমতার অত্যাচারের শিকার’, দাবি বিরোধী দলনেতার
কমিশন আগেই এই মন্তব্যের জন্য শোকজ নোটিস পাঠায় অভিজিৎকে। মঙ্গলবার সরাসরি তাঁকে ২৪ ঘণ্টার জন্য সেন্সর করেছে কমিশন। অভিজিৎ সম্পর্কে কমিশন নোটিসে লিখেছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যেখানে মহিলাদের সম্মান করার স্বতন্ত্র ঐতিহ্য রয়েছে সেখানে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত ভাষায় বাংলার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে, ভাবমূর্তিরও ক্ষতি করেছে। কমিশনের এই ধরনের কথায় তাঁর মানহানি হয়েছে বলে দাবি অভিজিতের। বুধবার দুপুর তিনটে নাগাদ হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করবেন প্রাক্তন বিচারপতি, এমনটাই সূত্রের খবর। এবার আদালত তাঁর মামলা গ্রহণ করে কি না সেটাই দেখার।