Amit Shah in Bengal: প্রথমে বলেছিলেন, বাংলায় ৩৫ আসন চাই। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর প্রথমবার বাংলায় নির্বাচনী সভা থেকে বাংলায় টার্গেট কমিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বললেন, ২০১৪ সালে বাংলার মানুষ দুটি আসন দিয়েছিল। ২০১৯-এ সেটা বেড়ে হয়েছিল ১৮, এবার ২০২৪-এ ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করতে হবে। যাতে বিজেপির গোটা দেশে আসন ৩৭০ পেরিয়ে যায়।
বুধবার বালুরঘাটে নির্বাচনীয় সভায় এসে নয়া লক্ষ্যমাত্রা দিলেন অমিত শাহ। কিছুদিন আগে পর্যন্তও ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রার কথা বলেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বাংলায় ৪২-এ ৪২ করতে হবে। তবে শাহ এদিন বললেন, ৩০ আসন চাই। আর বাংলায় বিজেপি ৩০ আসন পেরোলে কী হবে সেটাও জানিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, 'বিজেপি অসমে অনুপ্রবেশ খতম করেছে। বাংলায় লোকসভা ভোটে ৩০ আসন পেলে এখানে সীমান্ত টপকে কোনও ‘পরিন্দা’ বা পাখিও ঢুকতে পারবে না।'
কীভাবে ভোটে দেবেন সেটাও বলেছেন জনতাকে। বলেছেন, 'স্নান করে শিবের পুজো করে ১৯ তারিখে পদ্মপ্রতীকে বোতাম টিপতে হবে।' এদিনের সভায় ভিড় দেখে খুশি হয়ে শাহ বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে বলেন, 'আপনার ভোটের ফল তো এখানেই হয়ে গেল।' বলেছেন, 'এত রাগে বালুরঘাটে বোতাম টিপবেন যেন কলকাতায় মমতা দিদির গায়ে কারেন্ট লাগে।'
বাংলায় সিএএ নিয়ে শাহ বলেছেন, 'হাতজোড় করে বাংলার জনতাকে বলতে চাই, মমতা দিদি বাংলার লোকেদের বোকা বানাচ্ছেন। আমি বলতে চাই, ভয় না পেয়ে যত শরণার্থী এসেছেন, তাঁরা যেন নাগরিকত্বের আবেদন করেন। কারও নাম বাদ যাবে না।'
কয়েকদিন আগেই ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের ধরতে এসে আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিকরা। সরাসরি এনআইএ শাহের অধীনে পড়ে। এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেছেন, 'সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে।'
সন্দেশখালি ইস্যুতে শাহের আক্রমণ, 'মমতা দিদি, আপনি তো মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। আপনাকে প্রশ্ন করতে চাই। সন্দেশখালির মতো লজ্জাজনক ঘটনাতেও আপনি রাজনীতি করছেন! বছরের পর বছর আপনার নাকের নিচে, মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়ে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা অত্যাচার করে চলেছে। যখন তাঁদের ধরতে যাওয়া হয়েছে, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর হামলা করা হয়েছে। যখন হাইকোর্ট বলেছে, তখন সারেন্ডার করেছে। আমি আজকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে চাই, ভোট নেওয়ার জন্য তোষণ করে, সন্দেশখালির অপরাধীদের আপনি বাঁচাচ্ছেন। কিন্তু পুরো বাংলার মা-বোনেরা এটা দেখছে। জেনে গিয়েছে তাঁরা।'