/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/03/Hiran-Chatterjee.jpg)
Hiran Chatterjee: গ্রামবাসীকে পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ফাইল ছবি
Lok Sabha Elections 2024: এক বিজেপি কর্মীর দেহ ধানের খেতে উদ্ধারের ঘটনায় রাজনীতির পারদ চড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এবার খড়গপুরের বিজেপি প্রার্থী আরও এককদম এগিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে উসকানি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল। হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, 'দলদাস' পুলিশকে আটকাতে সন্দেশখালি মডেলে মহিলাদের লাঠি, ঝাঁটা, বঁটি-কাটারি নিয়ে বেরনোর নিদান দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। যে মন্তব্যের সমালোচনা করেছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের পরপরআড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাড়বাশী এলাকার ধান জমিতে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম শান্তনু ঘড়াই। পরিবারের দাবি তিনি বিজেপি করতেন। রাতে দেওয়াল লিখনের কাজে বেরিয়েছিলেন। তার পর আর ফেরেননি। পরেরদিন ধান খেতে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। শনিবার থেকে এই ঘটনায় উত্তপ্ত ছিল এলাকা। এবার রবিবার বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা হিরণ এসে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আজ পুলিশ সকাল থেকে চমকাচ্ছে, ধমকাচ্ছে। এই অবস্থা পুলিশের। আমি হাতজোড় করে প্রার্থনা করব বাংলার মা, বোনেরা, সবাই লাঠি-ঝাঁটা-বঁটি-কাটারি নিয়ে বেরিয়ে আসুন। না হলে দলদাস পুলিশকে আটকানো যাবে না। সন্দেশখালির মা-বোনেরা যেমন করেছিলেন, সেইভাবেই পুলিশকে আটকাও। না হলে বাংলার দলদাস পুলিশ বাংলাকে শেষ করে দেবে।'
আরও পড়ুন Former IAF Chief Joins BJP: কমল কাননে প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান, লড়বেন কোন আসনে?
In West Bengal, the concept of 'rule of law' is nearly non-existent!
Yesterday, in West Bengal's Papra region, booth number 80 of Pingla Vidhan Sabha, Shantunu Ghoraik, an active worker of the BJP, was murdered by miscreants associated with the Trinamool Congress. He was thrown… pic.twitter.com/CGuVpy1n4o— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) March 24, 2024
পাল্টা হিরণ পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে উসকানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, 'ওঁর কথা শোনার মতো লোক নেই। তাই বঁটি-ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে বেরনোর কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। উসকানি দিয়েও লাভ হবে না।'