প্রজাপতি সিনেমা হিট না ফ্লপ, নন্দনে কেন জায়গা পেল না দেব প্রযোজিত প্রজাপতি, এসব নিয়ে গত একমাস যাবৎ বাংলায় রাজনীতি তুঙ্গে ছিল। মিঠুন চক্রবর্তী, যিনি কি না বর্তমানে বিজেপি নেতা, তিনি এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায়। তৃণমূলের একের পর এক কটাক্ষ উড়ে এসেছে তাঁকে নিয়ে। আবার নন্দনে প্রজাপতি দেখানো হয়নি বলে বিজেপিও তোপ দেগেছে একের পর এক। এসব নিয়ে মিঠুন এবং দেব হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন গত কয়েকদিন। এবার মিঠুনের মুখে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা ঝরে পড়ল।
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে মিঠুন মমতাকে দেশের সেরা ১০ রাজনীতিবিদ বলেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মমতার মাস্টারস্ট্রোক হিসাবেও স্বীকার করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে মিঠুন বলেছেন, "দেশের সেরা ১০ জন রাজনীতিবিদের একজন মমতা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাঁর মাস্টারস্ট্রোক।"
কেন মাস্টারস্ট্রোক তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিজেপির কোবরা। বলেছেন, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এমন একটা সেন্টিমেন্টাল কথা, লক্ষ্মী মা, তার ভাণ্ডার। কিছু কথা বলতে গেলে সমস্যা। পাঁচশো টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কিন্তু পাঁচশো টাকায় সংসার চলে? চলে না। সেটা ম্যাডামও জানেন, আমরাও জানি। কিন্তু ৫০০ টাকা করে বছরে ৬ হাজার টাকা, আর পাঁচ বছরে ৩০ হাজার টাকা। ওি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একেবারে দিতে গেলেই সমস্যা। সেজন্য ৫০০ করে ভাগ করতে করতে ভোট পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছেন। আপনি কিন্তু আটকে যাবেন। প্রত্যেক মাসে ৫০০ করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। আসলে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটা করে ভোট নিশ্চিত করে ফেলেছেন। কেউ ধরতে পারবে না, এটাই মাস্টারস্ট্রোক।"
মিঠুনের গলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশংসা ঝরে পড়েছে। বলেছেন, "অভিষেক সুবক্তা। অনেক ভাষণ শুনেছি। শ্রোতাদের ধরে রাখতে পারে। কিন্তু অভিষেক স্যরকে একটাই কথা বলব, সঙ্গে কারা আছেন, তা দেখেই মানুষ চেনা যায়। চোখ খোলা রাখুন, কান খোলা রাখুন।"