/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/10/mahua-moitra-1.jpg)
CBI Raid: সংসদে ঘুষের বদলে প্রশ্নকাণ্ডে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
Mahua Moitra Cash for Query Case: আরও বিপাকে মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল লোকপাল। বরখাস্ত সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ গুরুতর বলে ব্যাখ্যা করেছে লোকপাল।
লোকপালের নির্দেশিকায় মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, 'আমরা সিবিআইকে নির্দেশ দিচ্ছি, ধারা ২০(৩-এ) অধীনে অভিযোগের সমস্ত দিক তদন্ত করে দেখতে। এই নির্দেশ পাওয়ার দিন থেকে ৬ মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে সিবিআই প্রতি মাসে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে রিপোর্টও জমা করবে।'
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ তোলেন, টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। লোকসভার এথিক্স কমিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তার পর রিপোর্ট জমা দেয় স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। স্পিকার মহুয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে সাংসদ পদ বরখাস্ত করেন। বস্তুত, এবারও কৃষ্ণনগর থেকে মহুয়াকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানি গোষ্ঠীর কাছে টাকা এবং উপটৌকন নিয়ে সংসদে আরেক শিল্পপতি আদানি গোষ্ঠীকে নিশানা করেছেন তিনি। এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য এটা করেছেন মহুয়া। এই অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়াকে বরখাস্ত করার দাবি তোলেন নিশিকান্ত। পরে মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু আইনজীবী অনন্ত দেহাদ্রাই নানা অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
তবে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করেননি মহুয়া এবং দর্শন হিরানন্দানি। গত ৮ ডিসেম্বর লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়াকে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন মহুয়া। সেই মামলায় শীর্ষ আদালতের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে লোকসভার সচিবালয়।