Lok Sabha Election 2024: পাহাড় থেকে সমতল। নদী থেকে সাগর। সবই রয়েছে আমাদের প্রিয় পশ্চিমবঙ্গে। দেশের বাকি রাজ্যগুলোর মত এই বাংলাও আর কিছুদিন পরই সাক্ষী হবে ১৮তম সাধারণ নির্বাচনের।
তারমধ্যে এমন কিছু বুথ রয়েছে, যেখানে ভোট করানোটাই দুষ্কর। ঠিক এতটাই দুর্গম এই জায়গাগুলো।
একনজরে লোকসভা নির্বাচন
এবারের লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। শেষ হবে ১ জুন। ৪৪ দিন ধরে চলা দেশের এই সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচনে ৯৬ কোটি নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ৫৪৩টি আসনের জন্য। এর পাশাপাশি, দেশের ৬৫টি রাজ্যসভা আসনেও নির্বাচন হবে। সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, ওড়িশা এবং সিকিমেও বিধানসভা নির্বাচন হবে। তা বাদে ১৬টি রাজ্যের ৩৫টি আসনে হবে উপনির্বাচন।
পশ্চিমবঙ্গের দুর্গম বুথগুলো
বক্সা ফোর্টের বুথ
বুথের স্থান, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ফুট উঁচুতে। ভোটার সংখ্যা ৭৯১ জন। ব্যালট বাক্স নিয়ে ট্রেক করে এই এলাকায় পৌঁছতে হয় ভোটকর্মীদের। এখানে কোনও টিভি নেই। মোবাইল থাকলেও নেটওয়ার্ক মিলবে না। পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং খাবার নেই।
কালিম্পং সৌরেনি বনবস্তি বুথ
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে বেশ কয়েকটি দুর্গম বুথ। এই সব বুথগুলো পাহাড় ঘেরা। কিছুটা পথ গাড়িতে। বাকি পথটুকু খচ্চরের পিছে ভোটের সরঞ্জাম চাপিয়ে বুথে পৌঁছতে হয় ভোটকর্মীদের। কারণ, সেখানে কোনও গাড়ি চলাচল করে না। এই বুথে ভোটদাতার সংখ্যা মাত্র ১০৫ জন। কালিম্পং শহর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কেরাম প্রাইমারি স্কুল বুথ। তার থেকেও বেশ কিছুটা দূরে এই সৌরেনি বনবস্তি বুথ।
রাম্মাম বনবস্তি প্রাইমারি স্কুলবুথ
এই বুথে ভোটারের সংখ্যা মাত্র ২০৯ জন। এখানে টাট্টুঘোড়া বা খচ্চরের পিঠে ভোটের সরঞ্জাম চাপিয়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলার পরে পৌঁছনো যায় বুথে। দার্জিলিং শহর থেকে রাম্মাম বনবস্তি প্রাইমারি স্কুলের বুথের দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার। পথে পড়ে শ্রীখোলা এবং ডারাগাও শ্রীখোলা বুথ।
আরও পড়ুন Premium: এখনও দগদগে বীভৎস স্মৃতি! ব্ল্যাকবোর্ডে গুলির গর্ত মনে করাচ্ছে অসহনীয় ‘যন্ত্রণা’র কালো দিন
আরও পড়ুন- চরম বিপদে সাংসদ শান্তনু! মতুয়াদের মন্দির উড়িয়ে দেওয়া-প্রাণনাশের হুমকি দিল কারা?
পুরুলিয়ার খুরুজারা বুথ
পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের সিরকাবাদ ব্লক কার্যালয় থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অযোধ্যা পাহাড়ের মাথায় চাটানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধানচাটানি গ্রামের খুরুজারা বুথ। এখানে পৌঁছতে হলে সিরকাবাদ থেকে ছাতনি হয়ে প্রায় সাত কিলোমিটার পাকদণ্ডী পথে পৌঁছতে হয় অযোধ্যা পাহাড়ের মাথায়। সেখানে বাঘমুন্ডি ব্লকের পুনিয়াশশান, উসুলডুঙরির জঙ্গল পেরিয়ে পৌঁছতে হয় ধানচাটানি গ্রামে।