Loksabha election campaign Birbhum TMC candidate Shatabdi Roy: রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। ভোটারদের ক্ষোভ সামলাতে তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়। অভাব-অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার, ক্ষুব্ধ ভোটারদের শান্ত করতে তিনি বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। দাঁড়িয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রবিবার বীরভূম লোকসভার নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের নওয়াপাড়া, শীতলগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার সারেন তৃণমূল প্রার্থী। দুপুর ১২ টা নাগাদ নওয়াপাড়া পঞ্চায়েতের গোকুলপুর গ্রামে শতাব্দী গাড়ি থেকে নামতেই গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরে ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের এক কিলোমিটার রাস্তায় এখনও পর্যন্ত লাল মাটিটুকুও পরেনি। এক পশলা বৃষ্টি হলেই রাস্তা কাদাটে হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এনিয়ে পঞ্চায়েতকে বার বার জানানো হয়েছে। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অভিযোগকারী গ্রামবাসীরা শর্ত দেন, ভোট নিতে গেলে আগে রাস্তা চলাচলের যোগ্য করে দিতে হবে। গ্রামের বাসিন্দা গোলাম আম্বিয়া, রওশন আলিরা বলেন, 'স্বাধীনতার পর থেকে এই রাস্তায় একগাড়ি লালমাটিটুকুও পড়েনি। আমরা পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। ফলে, শীত-গ্রীষ্ম- বর্ষা একহাঁটু কাদা মেখে যাতায়াত করতে হয়।'
ক্ষোভ থামাতে শতাব্দী বলেন, 'ভোটের পর রাস্তা হবে। কিন্তু, এখনও হয়নি কেন, পঞ্চায়েত কেন করেনি, সে সব বিচার না করে আগে জানুন যে এই রাস্তায় কয়েক গাড়ি পাথরকুচি ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৮০ লক্ষ টাকার একটি বরাদ্দ করেও জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ভোটের পর ওই রাস্তা পাকা করা হবে।'
পঞ্চায়েত প্রধান রিপন শেখ বলেন, 'পঞ্চায়েতের হাতে বেশি টাকা থাকে না। পঞ্চায়েতের হাতে সামান্য অর্থ থাকে। যেসব রাস্তার কাজ করা হবে, জেলা পরিষদের কাছে তার একটা তালিকা আছে। সেই তালিকায় ওই রাস্তার কথা আছে। কিন্তু, ভোটের জন্য কাজ বন্ধ আছে। ভোট শেষ হলেই রাস্তার কাজ শুরু হবে। সোমবার ওই রাস্তায় এক ডাম্পার পাথর কুচি ফেলে দিয়ে আপাতত যাতায়াতের উপযুক্ত করে দেওয়া হবে।'