নিখোঁজ মানিক। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি আচমকা উধাও। তাঁকে ফোনেও পাচ্ছেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। আর, তাই এবার লুক আউট নোটিসের রাস্তায় হাঁটতে চলেছেন গোয়েন্দারা। সমস্ত বিমানবন্দরে দেওয়া হচ্ছে নোটিস। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, আজ বা গতকাল না। একসপ্তাহ ধরেই মানিক ভট্টাচার্যের খোঁজ নেই। ফোনেও ধরা যাচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে। ফোন করলেই শোনাচ্ছে সুইচড অফ।
কলকাতার ফ্ল্যাট, নদিয়ার বাড়ি- কোথাও নেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, তিনি দেশ ছেড়েও পালাতে পারেন। আর, তাই দেরি না-করে এবার লুকআউট নোটিসের রাস্তায় হাঁটছেন তদন্তকারীরা। এয়ারপোর্ট অথরিটিকে ছবি-সহ দেওয়া সেই নোটিসে জানানো হচ্ছে কোন মামলায় কেন তাঁকে খুঁজছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীও হাত তুলে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, মক্কেল কোথায়, তিনি জানেন না।
আরও পড়ুন- রাজঘাটে গান্ধী-শরণে কেজরিওয়াল, গঙ্গাজল ঢেলে শুদ্ধিকরণ বিজেপির
শুধু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিই নন। মানিক ভট্টাচার্য নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূলের বিধায়কও। টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি ও সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। তাঁর ফ্ল্যাটেও তল্লাশি হয়েছে। সম্প্রতি ২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার পর নিখোঁজ হওয়ায় ফের সংবাদ শিরোনামে মানিক।
তাঁকে নিয়ে যখন ধন্দে সিবিআই, সেই সময় স্কুল দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার মুখ খুললেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেছেন, পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু, কোথাও দুর্নীতি হয়নি। গোয়েন্দারা অব্শ্য সুবীরেশকে ক্লিনচিট দেননি। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সিল করে দিয়েছেন তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট। উত্তরবঙ্গে তাঁর বাংলো এবং অফিসেও চালানো হয়েছে তল্লাশি। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতেই কলকাতায় এসেছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য।