গর্ভগৃহে সংস্কারের কাজ শেষ। পাঁচ দিন পর গর্ভগৃহে ফিরলেন মা তারা। এতদিন গর্ভগৃহ থেকে বের করে মায়ের মূর্তি রাখা হয়েছিল তারাপীঠেরই শিব ভৈরবের মন্দির চত্বরে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ফের গর্ভগৃহে নিয়ে আসা হয় তারা মায়ের মূর্তি। আজ সকাল থেকে গর্ভগৃহে মায়ের পুজো চলছে। ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা।
মন্দির কমিটির তরফে খবর, গর্ভগৃহ ও বেদি সংস্কারের পাশাপাশি মন্দিরে রঙও করা হয়। ফলে স্থানান্তরিত করা হয় তারা মায়ের মূর্তি। করোনাকালে গর্ভগৃহ সংস্কারের কাজ সম্ভব হয়নি। ফলে বর্তমানে গর্ভগৃহ ও বেদি সংস্কার করা হচ্ছে।
পুরনো বিশ্বাস, এই মন্দিরে প্রার্থনা করে কোনও ভক্ত খালি হাতে ফেরে না। মহাপীঠ বলে পরিচিত এই মন্দির, হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মস্থান। বলা হয়, 'তুমি যদি সৎ হও, তবে তুমি পৃথিবীর যেখানেই থাকো এবং যে ধর্মাচরণই করো না কেন, মা তারার আর্শীবাদ সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকবে এবং তোমার আশা পূরণে সহায়তা করবে। তোমার হৃদয় ও মনের যাবতীয় যন্ত্রণা তিনি দূর করবেন।'
তারাপীঠ মন্দির নিয়ে নানা কথিত বিশ্বাস রয়েছে, আছে নানা কাহিনী। অনেকে বলেন এটি সতীপীঠ নয়, তা হল কঙ্কালীতলা। অনেকে বলে থাকেন, এখানে সতীর তৃতীয় নয়ন পতিত হয়েছিল। ঋষি বশিষ্ঠ প্রথম সেটি দেখে সতীকেই তারারূপে পুজো করেন। এছাড়াও এখানে রয়েছে সাধক বামাক্ষ্যাপার সমাধিমন্দির। এই মন্দিরেই পুজো করতেন বামক্ষ্যাপা। মন্দির লাগোয়া শ্মশানক্ষেত্রে বাবা কৈলাসপতি নামে এক তান্ত্রিকের কাছে তন্ত্রসাধনা করতেন তিনি। মা তারার আরাধনা এবং পুজোতেই বামাক্ষ্যাপা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তারাপীঠ মন্দিরের কাছেই রয়েছে সেই আশ্রম।