‘বাগান তো অনেক-বৃন্দাবন একটাই! তাই বলে কৃষ্ণের কি দোষ’, শ্বেতা প্রসঙ্গে মদন মিত্র

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীরইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য!

madan mitra on ayan sils closest sweta chakraborty , শ্বেতা প্রসঙ্গে মদন মিত্র
শ্বেতা চক্রবর্তী, মদন মিত্র

বুধবার দুপুরে প্রকাশ্যে অয়ন শীল ‘ঘনিষ্ঠ’ অভিনেত্রী শ্বেতা চক্রবর্তী। আর তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এই ‘রহস্যময়ী’কে নিয়ে মুখ খুললেন মদন মিত্র। এর আগে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ ‘বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়েও নিজের কথা তুলে ধরেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।

শ্বেতা চত্রবর্তী প্রসঙ্গে কী বলেছেন মদন মিত্র?

‘শ্বেতা সুন্দরী, রহস্যময়ী, লাস্যময়ী। চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। খোঁজ নিয়ে জানলাম, ও কামারহাটি পুরসভায় কাজ করত। আবার ওদিকে অর্পিতা থাকত। যত সুন্দরী, লাস্যময়ী তাঁদের যদি বেলঘড়িয়া ভাল লাগে। বাগান তো অনেক ….বৃন্দাবন একটাই! তাই বলে কৃষ্ণের কি দোষ। ম্যায় ক্যা করু..।’

তদন্তে উঠে এসেছে যে, কামারহাটি পুরসভায় কাজ করতেন শ্বেতা চক্রবর্তী।

গত জুলাই মাসে ইডি-র হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি এবং পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তারপরই অর্পিতা সমন্ধে মুখ খুলেছিলেন মদন মিত্র। বলেছিলেন, ‘আমার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ও তো ভোটার। যে ক্লাব টাউন আবাসনে ও থাকত, ওই আবাসনে আমাদের সাংসদ সৌগত রায়ও থাকেন। আমরাও যখন কোনও গোপন বৈঠক করতে যাই, ওই ক্লাব টাউনেই যাই। আমি অর্পিতাকে চিনি না, দেখিনি বললে মিথ্যা কথা বলা হবে। এইটুকু বলতে পারি, যে ক’দিন ওকে দেখিছি আমার কাছে ওঁর আচরণে এমন কিছু লাগেনি। তবে, এটা আমি শুনেছি, পার্থদার ঘনিষ্ঠ। আমি কী করে জানব, রাতের অন্ধকারে কোথায় কী হচ্ছে। আমি তো রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেরাই না। তবে এইসব নিয়ে আমি পার্থর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে পারব না। কারণ, পার্থ যা পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, সেই পারফরম্যান্সের কাছে আমি চুনোপুঁটি।’

গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠেছে গোপাল দলপতির প্রাক্তন স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। চর্চার কয়েক ঘন্টার মধ্যে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি ছিল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর। দু’জনকেই হাসি মুখে দেখা যাচ্ছিল। হৈমন্তীর ফেসবুক গ্যালারিতে ওই ছবি ছিল। তাহলে কী মদন মিত্রের সঙ্গে হৈমন্তীর যোগ ছিল। উত্তরে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘ছবিটা যে আমার তা পরিষ্কার। আমি কলেজ জীবন থেকেই দেখেছি আমার ছবি বেরোলে এমনিই ভাইরাল হয়। যেমন উত্তমকুমারের ছবি স্টুডিয়োয় ঝোলানো থাকে। তেমনই আমার সঙ্গে ছবি তুললেই তা ভাইরাল হয়। মেয়েদের একটু ফর্সা দেখতে হলেই আমার সকলকে একই রকম লাগে। আলাদা করে বুঝতে পারি না। তার পর ভুলে যাই কোথায় দেখেছি, কবে দেখেছি।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Westbengal news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Madan mitra on ayan sils closest sweta chakraborty

Next Story
আম-বাগানে পেপে চাষ করে লাখপতি, রতুয়ার আইকন শিশু ওয়াহাব
Exit mobile version