এবার নুসরত জাহান বিতর্কে মুখ খুললেন মদন মিত্র। সম্প্রতি বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে আরও হুলস্থূল ফেলে দেন সাংসদ নিজে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই সটান বেরিয়ে যান তিনি। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দলেরই এক তারকা সাংসদের এহেন আচরণ নিয়ে এবার সোজাসাপটা কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর জায়গায় তিনি থাকলে কী করতেন? রাখঢাক না রেখেই সাফ বললেন 'কালারফুল মদন'।
সংবাদমাধ্যমে মদন মিত্র বলেছেন, 'অভিযোগ উঠলে সামনে দাঁড়িয়ে তার মুখোমুখি হতে হয়। প্রশ্ন এড়িয়ে গেলে তো মানুষের মনে সন্দেহ আরও বাড়ে। আমি যদি কোনও প্রশ্ন এড়িয়ে যাই তাহলে মানুষের মনেও এই প্রশ্নটা থাকবে যে কেন আমি প্রশ্নটা এড়িয়ে গেলাম। নুসরতের জায়গায় আমি হলে শেষ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উঠতাম।'
আরও পড়ুন- SSKM নয়, কেন বেসরকারি হাসপাতালই পছন্দ ‘কালীঘাটের কাকু’র? জানতে চায় আদালত
উল্লেখ্য, বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে প্রায় ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে সোমবার ইডির দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। অভিযোগের জবাব দিতে বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন সাংসদ। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ দাবি করেন, ‘যে কোম্পানির সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম, সেই সংস্থা থেকে আমি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে পদত্যাগ করেছি। অভিযোগ উঠেছে, আমার বাড়ি দুর্নীতির টাকায় কেনা। সংস্থা থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। সেই ঋণ আমি সুদ সমেত ফেরত দিয়েছি।'
আরও পড়ুন- ‘টাকা ছাড়া ব্যান্ডেজ নয়’, খাস সরকারি হাসপাতালেই ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ কাণ্ড!
এরপরেই সাংবাদিকদের আরও প্রশ্নে হঠাৎই মেজাজ হারান নুসরত জাহান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের আর গল্প বানাতে হলে তাই করুন।’ একথা বলার পরেই সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে দ্রুত তিনি বেরিয়ে চলে যান। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন- লোক ঠকানোয় ‘কালীঘাটের কাকু’ ঘোল খাওয়াবেন ‘দুঁদে’ প্রতারকদেরও