হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা আর দেওয়া হল না জলপাইগুড়ির ওই স্কুলছাত্রের। এদিন বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল ওই পড়ুয়া। মুহূর্তে জঙ্গল ছেড়ে রাস্তায় তাঁদের সামনে চলে আসে একটি দাঁতাল। পালানোর আগেই কিশোরকে পা পিষে দেয় হাতিটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে শেষ রক্ষা গয়নি। চিকিৎসকরা ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মাধ্যমিক শুরুর দিনে এমন মর্মান্তিক-কাণ্ডে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বৃহস্পতিবারই শুরু হয়েছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাবার সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বেরিয়েছিল অর্জুন দাস নামে ওই পরীক্ষার্থী। এদিন জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের কাছে টাকিমারি এলাকায় পৌঁছতেই হাতির সামনে পড়ে যায় বাবা-ছেলে। হাতি সামনে পড়তেই বাবার হাত ছাড়িয়ে পালাতে যায় অর্জুন।
আরও পড়ুন- মৃত ব্যক্তির সঙ্গে অ্যাকাউন্ট মানিক-ঘরণীর, জমা পড়ে KYC-ও
কিশোর অর্জুনকে ধাওয়া করে নিয়ে যায় দস্যি দাঁতাল। রাস্তায় পড়ে গেলে অর্জুনের বুকে-পেটে পা তুলে দেয় হাতিটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অকস্মাৎ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন- ‘আমি ধমকাই না, আবেদন করি’, বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে শেকাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, 'এর থেকে মর্মান্তিক ঘটনা আর নেই। অথচ এগুলো আমাদের হাতেও নেই। দল বেঁধে ওরা এলে এগুলো হয় না। ফরেস্টের লোকরা তখন কন্ট্রোল করতে পারে। কিন্তু যখন একা হয়ে যায় তখনই হাতিটার মাথা ঠিক থাকে না বলে ওরা বলে। এদিকে, সেদিকে ঘুরে বেরায় আর এসব করে। আমি শিক্ষা দফতরকে বলেছি ওখানকার পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনে বাসের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু হাতির দল এলে তো বাসও উল্টে দিতে পারে। ফরেস্টকে সজাগ থাকতে হবে। পুলিশকেও নজরদারি বাড়াতে বলব। আমি মর্মাহত।'