রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, খুন, অগ্নিসংযোগ এমনকী ধর্ষণের অভিযোগ আগেই উঠেছে। এবার ইভটিজিংয়ের অভিযোগও উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যের নাম নিমাই সিংহ। তিনি মালদার হবিবপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ, সরস্বতী পুজোর রাতে সরস্বতী প্রতিমা ও মেলা দেখতে গিয়েছিলেন ওই পরীক্ষার্থী। সেই সময় তাঁকে ইভটিজিং করে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকজন।
ওই পরীক্ষার্থীর পরিবারের আরও অভিযোগ, ঘটনার সময় নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবরা ছিলেন। ছাত্রীর দাদা ও পরিবারের সদস্যরা ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ জানান। তার জেরে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর দলবলের লোকজন নির্যাতিতার দাদা ও পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এমনটাই অভিযোগ ওই ছাত্রীর পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে আইহো নমোটলা এলাকায়। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা আহত হন বলেই অভিযোগ উঠেছে।
তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন পরীক্ষার্থীর দাদা ও কাকিমা। এই ঘটনায় তাঁরা অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হবিবপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন- হিরন এপিসোড: বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদলের পাশা খেলা!
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য নিমাই সিংহ দাবি করেছেন, তিনি প্রথমে ঘটনাটির কথা জানতেন না। সরস্বতী পুজো সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠানে দিনভর ব্যস্ত ছিলেন। রাতে আচমকা শুনতে পান, এলাকায় গোলমাল হচ্ছে। সেই খবর পেয়ে গোলমাল থামানোর জন্য তিনি ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর নামেই এখন অভিযোগ করছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরিবার। গোটা ঘটনায় তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছেন বলেই দাবি ওই পঞ্চায়েত সদস্যের।