বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের মিরপাড়ার বাসিন্দা সমিরুদ্দিন শেখের তিন মেয়ে এক ছেলের মধ্যে দুই মেয়ে যমজ। দুজনই মূক ও বধির। প্রতিবন্ধকতা তাদের হার মানাতে পারেনি। ছোট থেকেই নিজেদের জেদেই পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। শুধু পড়াশোনা নয়, খেলাধুলো, নাচ এবং ছবি আঁকাতেও পারদর্শী এই দুই বোন।
সুমি ও রুমি খাতুন লোহাপুর চারুবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাদের পরীক্ষা সেন্টার পড়েছিল লোহাপুর এম আর এম হাইস্কুলে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও রাইটার না নিয়েই পরীক্ষায় বসেছিল তারা। পরীক্ষা শেষে তাদের প্রাণখোলা হাঁসিই বুঝিয়ে দিয়েছিল পরীক্ষা দিয়ে তারা কতটা খুশি। ফলাফল প্রকাশ পেতেই তাঁর প্রমান মিলল। রুমি খাতুন পেয়েছে ৩৫৩। আর সুমির ঝুলিতে ৩৯৫।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুমিত্রা খাঁ বলেন, 'এতো প্রতিবন্ধকতার মাঝেও দুই ছাত্রী যে সাফাল্য পেয়েছে তাতে আমরা গর্বিত। আমরা ওদের আরও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করছি।'
এই যমজ বোনের মা হাসিবা বিবি বলেন, 'খুব অভাবের মধ্যে সংসার চলছে। কষ্ট করে দুই মেয়েকে পড়িয়েছি। ভালো লাগছে ওরা পাশ করেছে। আরও পড়ানর ইচ্ছে রয়েছে। ওরা যতদূর পড়তে চায় ততদুর পড়াব। প্রয়োজনে ঘটিবাটি বিক্রি করে দেব।'