Advertisment

Success Story: গগনচুম্বী কীর্তিতে দিগন্তজোড়া সাফল্য! প্রত্যন্ত গাঁয়ের এযুবকের অভূতপূর্ব সৃষ্টির দুরন্ত প্রশংসা

Success Story: অভূতপূর্ব প্রয়াসে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই বঙ্গসন্তান। মহেশ হালদার নামে এই যুবকের নাম এখন বাংলার এই প্রত্যন্ত এলাকায় লোকজনের মুখে মুখে ফিরছে। নিজের অভাবনীয় এই কীর্তির জন্যই দেশ-বিদেশ থেকে বহু পুরস্কার পেয়েছেন মহেশ। এমনকী লোভনীয় সব চাকরির প্রস্তাবও এসেছিল। তবে নিজের এলাকা ছেড়ে নড়েননি তিনি। এবার নিজের উদ্যোগেই প্রত্যন্ত এই গ্রামে গড়েছেন অভিনব আরও কীর্তি। মহেশের জন্য এতল্লাটের মানুষদের গর্বে বুক চওড়া।

IE Bangla Web Desk এবং Nilotpal Sil
New Update
Mahesh Halder sculptor from Sundarban patharpratima created a beautiful wooden statue

Success Story: নজিরবিহীন কীর্তি এই বঙ্গসন্তানের।

Success Story: সুন্দরবনের গর্ব বলতে পারেন এই যুবক। মহেশ হালদারের এই লড়াই-কাহিনী এখন দক্ষিম ২৪ পরগনা জেলারই এই দ্বীপাঞ্চলের লোকজনের মুখে-মুখে ঘুরছে। নিজের অকল্পনীয় দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ ইতিমধ্যেই বহু পুরস্কার (Award) ঝুলিতে ভরেছেন এই বঙ্গসন্তান। কীর্তির শিখর ছুঁয়েও পা মাটিতেই বছর তেত্রিশের এই যুবকের। এবার নিজের গ্রামের ছেলেমেয়েদেরও দুরন্ত পারদর্শী করে তুলতে মনোনিবেশ করেছেন মহেশ।

Advertisment

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমার (Patharpratima) ঢোলাহাটের ভাজনা মানিক দুয়ানী এলাকা। এখানকারই বছর তেত্রিশের যুবক মহেশ হালদার এখন এলাকার মানুষের নয়নের মণি। তাকলাগানো কাঠের মূর্তি তৈরি করে দেশ-বিদেশেও সুনাম কুড়িয়েছেন এই যুবক।

ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার দিকে বিশেষ আগ্রহ ছিল মহেশের। মধ্যবিত্ত পরিবারের স্কুল শিক্ষক নিমাই চাঁদ হালদারের ছোট ছেলে মহেশ লেখাপড়ার সঙ্গে-সঙ্গে ছবি আঁকা শুরু করেন। এমনকী মহেশের এই ছবি আঁকা নিয়ে তাঁর মা-বাবার মধ্যেও প্রায়শই মতবিরোধ লেগে থাকত। মহেশের বাবা চাইতেন, ছেলে ভালো করে লেখাপড়া শিখুক। তাঁর মা চাইতেন ছবি আঁকার সঙ্গেই চলুক মহেশের লেখাপড়া।

publive-image
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মহেশ হালদার।

যদিও শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া বেশি দূর হয়নি মহেশের। তবে ছবি আঁকায় দুরন্ত কীর্তির মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন মহেশ। ডিপ্লোমা লাভ করে কলকাতার (Kolkata) চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় থেকে MFA পাশ করেছেন মহেশ।

আরও পড়ুন- Arjun Singh-BJP: অর্জুনের BJP-তে ঘরওয়াপসির পরতে-পরতে চূড়ান্ত নাটক! আজই দুরন্ত ‘পালাবদল’ বাংলায়?

মহেশের অবিস্মরণীয় কীর্তি মন ছুঁয়ে গিয়েছে এলাকাবাসীরও। কাঠের মূর্তি, বালি দিয়ে ভাস্কর্য তৈরি, চামড়ার উপরে বিভিন্ন ছবি-সহ রং-তুলি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকায় তাক লাগিয়েছেন এই যুবক। নিজের গ্রামেই মহেশ গড়ে তুলেছেন অভিনব এক শিক্ষাকেন্দ্র। সেখানেই গ্রামের ছেলেমেয়েদের জন্য ঠাকুমার নামে ছবিরাণী অঙ্কন শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুলেছেন মহেশ। বর্তমানে তাঁর 'পাঠশালা'য় ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ২০০।

নিজের অবিস্মরণীয় দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশ থেকে বহু পুরস্কার পেয়েছেন মহেশ। এমনকী তাঁকে অনেক সংস্থা থেকে লোভনীয় চাকরির (Jobs) প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর দাবি। তবে গ্রাম ছেড়ে নড়েননি মহেশ। নিজের দক্ষতা এলাকার ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে বিলোতে শুরু করেছেন তিনি। আর সেই কারণেই মহেশ হালদারের জন্য গর্বে বুক চওড়া সুন্দরবনের এতল্লাটের বাসিন্দাদের।

Sundarban West Bengal sculpture Success Story
Advertisment