এক টিকিটেই কেল্লা ফতে! রাতারাতি কোটিপতি দিনমজুর। তাঁর টিকিটে কোটি টাকার পুরস্কার উঠেছে জেনেই আনন্দের মাঝেই জমে উঠেছিল একরাশ দুশ্চিন্তা। টিকিট হাতেই দৌড় থানায়। নিরাপত্তা চেয়ে ওই ব্যক্তি পুলিশের দ্বারস্থ হন। রবিবার রাতটা থানাতেই কেটেছে ওই ব্যক্তির। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরাও তাঁর নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা করেছিলেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের কাঞ্জনপুর জালপাই এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপদ ঘোড়াই। ১৫০ টাকার টিকিট কেটে ১ কোটি টাকার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি। টিকিট যার টাকা তাঁর। সেই ভয়ে টিকিট নিয়ে রাতে বাড়িতে থাকার ঝুঁকি নেননি তিনি। পুলিশি নিরাপত্তার জন্য রবিবার রাতেই মহিষাদল থানায় ছুটে গিয়েছিলেন বিষ্ণুপদ।
থানায় কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের তাঁর রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার গল্প খুলে বলেন ওই ব্যক্তি। কোটি টাকার মহার্ঘ্য ওই লটারির টিকিট নিয়ে রাতে বাড়িতে থাকতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে তিনি জানান পুলিশ আধিকারিকদের। এরপর থানাতেই তাঁর রাত কাটানোর ব্যবস্থা হয়।
আরও পড়ুন- ‘মুখ্যমন্ত্রীই কিছু করুন’, বাংলাদেশী অভিযোগে জেলবন্দি ছেলে-বউমাকে ছাড়াতে আর্তি বাবা-মার
জানা গিয়েছে, রোজকার মতো কাজে যাওয়ার পথে মহিষাদলের গাডুহাটায় এক লটারির টিকিট বিক্রেতার কাছ থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন বিষ্ণুপদ। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে তিনি জানতে পারেন তাঁর টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার উঠেছে। কোটি টাকার পুরস্কার জেতার খবরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও যারপরনাই খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠেন। তবে এই আনন্দের মাঝেও ছিল একরাশ আতঙ্ক। মহার্ঘ্য ওই টিকিট নিয়ে বাড়িতে থাকার ঝুঁকি নেননি বিষ্ণুপদ।
পুলিশের নিরাপত্তা চেয়ে রবিবার রাতেই মহিষাদল থানায় ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই তাঁর বেশ কয়েকজন আত্মীয়ও থানায় গিয়েছিলেন। লটারির ওই মহার্ঘ্য টিকিট নিয়ে বাড়িতে থাকার ব্যাপারে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান বিষ্ণুপদ ঘোড়াই। তাঁর আত্মীয়রাও পুলিশকে বষ্ণপদর নিরাপত্তার আর্জি জানান। সব জেনে-বুঝে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরাও ওই দিনমজুরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। যতক্ষণ না টাকা অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার না হয় ততক্ষণ তাঁর জন্য পুলিশি নিরাপত্তার আবেদন করেন বিষ্ণুপদ।