লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তারপরই এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কার্শিয়াংয়ে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমরা এর ঘোর নিন্দা করছি। মহুয়ার সঙ্গে দল ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।'
Advertisment
বিতর্কের গোড়াতে ত়ৃণমূলকে মুহুয়া মৈত্রর পাশে তেমন দেখা যায়নি। বরং বলা হয়েছিল, মহুয়ার ব্যাপারে যে সব অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সাংসদ নিজেই জবাব দেবেন সাংসদ। পরে অবশ্য সাংসদের হয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল মমতা ও অভিষেককে। ঘুষের বদলে সংসদে প্রশ্ন কাণ্ডে বহিষ্কারের পর এ দিন মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে। বলেছেন 'পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে করা হল। মহুয়ার সঙ্গে সুবিচার করা হল না। ওঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হল, আবার ওঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারও করা হল। আধ ঘণ্টার মধ্যে কেউ ৪৭৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট পড়ে ফেলতে পারেন। ওরা সব কিছুই ঠিক করে রেখেছিল। পুরোপুরি অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক ভাবে বহিষ্কার করা হল মহুয়াকে।'
কেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'আমি একবার ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী বোধহয় ব্যাপারটা বিবেচনা করবেন। কিন্তু দেখলাম গণতন্ত্রের কোনও স্থানই নেই। মহুয়ার বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা হল, কিন্তু ওঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই দেওয়া হল না।'
আপাতত লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্র। আগামী বছরে ফের লোকসভা ভোট। ফের কী কৃষ্ণনগর থেকে তৃমূণূলের টিকিটে প্রার্থী হবেন মহুয়া? এ ব্যাপারে সরাসরি এ দিন কোনও জবাব দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'মহুয়া ওঁর লড়াই থামাবেন না। ওঁর কথা বলে যাবেন। এই তো দু-তিন মাস, তার পর আবার যাবে।' অর্থাৎ আসন্ন লোকসভা ভোটে মহুয়া মৈত্র আবার প্রার্থী হচ্ছেন বলে বুধিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।