Jamal Uddin Sardar: সালিশি সভার নামে মহিলাকে শিকল দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনায় নাম জড়ায় সোনারপুরের ত্রাস তথা শাসক ঘনিষ্ঠ জামাল সর্দারের। দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে আসরে নামেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। তিনি পুলিশকে জামালকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশও দেন। এরপরই গতকাল রাতে মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে গ্রেফতার করা হয় সোনারপুরের ত্রাস জামাল সর্দারকে।
বেশ কিছুদিন ধরে পালিয়ে বেড়িয়েও শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের জালে সোনারপুরের 'ত্রাস' জামাল সর্দার। কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে তাকে। জোর করে জমি দখল থেকে মানুষকে মারধর, খুনের হুমকি, সহ একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি ছিল আর্থিক প্রতারণার মত মারাত্মক অভিযোগ।
শুক্রবার রাতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং নরেন্দ্রপুর থানার সীমান্ত এলাকা থেকে জামাল সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ শনিবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির পেশ করা হবে। জামাল সর্দারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন একের পর এক নির্যাতিতা মহিলা।
এক মহিলা সম্প্রতি জামালের বিরুদ্ধে অভিযোগে জানান, দাবি মত টাকা না পাওয়ায় তাঁর স্বামীকে সারারাত ধরে মারধর করেছে জামাল ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে শিকল দিয়ে বেঁধে উলটো করে ঝুলিয়ে সারারাত ধরে মারধর করে জামাল। এই ঘটনা সামনে আসতে রাজ্য-রাজনীতিতে হুলস্থূল পড়ে যায়। সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র অবিলম্বে জামাল সর্দারকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অবশেষে পুলিশ জামালকে গ্রেফতার করতেই সুবিচারের আশায় বুক বাঁধছেন নির্যাতিতদের পরিবার।
আরও পড়ুন - Suvendu Adhikari: গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, উঠল ‘চোর’ স্লোগান, রেগে লাল শুভেন্দু তেড়ে যেতেই…
সালিশি সভার নামে এক মহিলার পায়ে শিকল বেঁধে মারধর হয়েছে বলে ৭ জুলাই জামাল সর্দারের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে জামাল সর্দারের দুই সঙ্গী মুজিদ খাঁ এবং অরবিন্দ সর্দারকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সোনারপুরের থানার পুলিশ। কিন্তু জামাল সর্দারের কোনও খোঁজ মিলছিল না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযোগের পর এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত জামাল সর্দার। জামালকে গ্রেফতারের জন্য মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের উপর ভরসা করে বারুইপুর থানার পুলিশ৷ মোবাইল ফোনের সেই সূত্র ধরে জামালের সন্ধানে আসরে নামে বারুইপুর এবং কলকাতা পুলিশ। অবশেষ শুক্রবার লেদার কমপ্লেক্স থানা ও নরেন্দ্রপুর থানার সংলগ্ন এলাকার একটি গোপন আস্তানা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ ।