এই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের ধর্মতলার বাড়িতে দু'বার তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তেমন কোনও তথ্য সেখান থেকে উদ্ধার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের ধর্মতলার বাড়িতে দু'বার তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তেমন কোনও তথ্য সেখান থেকে উদ্ধার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ক্যানিংয়ে নিহত ঝন্টু হালদারের শোকার্ত পরিবার। ছবি- পার্থ পাল
ক্যানিংয়ের তিন তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। কিন্তু, মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দার সহ অভিযুক্তরা সকলেই এখনও অধরা। অভিযুক্তদের ধরতে বারুইপুর জেলা পুলিশ রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি বলেই খবর।
Advertisment
এদিকে, ক্যানিং হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের ধর্মতলার বাড়িতে দু'বার তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তেমন কোনও তথ্য সেখান থেকে উদ্ধার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রফিকুল কোথায় রয়েছে তা নিয়ে কিছু বলতে পারেননি অভিযুক্তের মা। তাঁর দাবি, তল্লাশির সময় পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে।
রাতে এলাকা তল্লাশি পুলিশের।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রফিকুলের বাড়ি ভাঙচুর করেছিল স্থানীয়রা। রফিকুলের প্রতিবেশীদের দাবি, মাদাক মামলায় জামিনে কয়েক মাস আগেই ছাড়া পেয়েছে রফিকুল। যদিও সে বাড়ি ফেরেননি। রফিকুলের পরিবারের দাবি, সে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী।
Advertisment
কেন এই খুন? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে যে পুরনো শত্রুতার জেরেই গোপালপুর পঞ্চায়েতের তিন তৃণমূল সদস্য স্বপন মাজি, ভূতনাথ প্রামাণিক এবং ঝন্টু হালদারকে প্রথমে গুলি ও পরে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, এনডিপিএস মামলাতে জেলমুক্ত হয়েই রফিকুল সর্দারস্থানীয় তৃণমূল নেতা বাদল নস্করকে আক্রমণ করেছিল। সেই সময় বাদলকে বাঁচিয়েছিলেন গোপালপুর পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন মাজি। ফলে স্বপনের উপর আক্রোশ ছিল রফিকুলের। সেই থেকেই রফিকুলের নিশানায় ছিলেন স্বপন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, যে রাস্তা দিয়ে বাইকে চড়ে স্বপন মাজিরা আসছিলেন, তারই বিপরীতদিক থেকে আরেকটি বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসেছিল। প্রথমে দুষ্কৃতীরা স্বপন মাজিদের রাস্তা আটকায়। এরপরই তাঁকে প্রথমে স্বপনকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। কোপানো হয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে। এরপর বাকি দু’জনকে খুন করা হয়। হত্যার পর দুষ্কৃতীদের একজন বাইকে করে পালায় এবং অন্য তিনজন মাঠ দিয়ে দৌড়ে চম্পট দিয়েছে। পুলিশ রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছে তিনটি গুলিও।
ইতিমধ্যেই এই তিন হত্যাকাণ্ডের তদন্তে মেনেছে সিআইডি।
দলের তিন পঞ্চায়েত সদস্যদের খুনের নেপথ্যে বিজেপি ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। পাল্টা গেরুয়া দলের অভিযোগ, শাসক শিবিরের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই খুন। সিপিআইএম জানিয়েছে যে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকের প্রতাপ ও খুনের রাজনীতি শুরু হল।