Madarihat-Exceptional Initiative: স্বামীকে হারিয়েছেন বহু বছর আগে। বক আগলেই দিন কাটে তাঁর। ছেলের সঙ্গে থাকেন এই বৃদ্ধা। ক্ষুদ্র কৃষক শিবুর একটাই ঘর। উপার্জনও স্বল্প। তবে মালতী বলছেন, সংসারে অন্নবস্ত্রের অভাব তো নেই!
বৃদ্ধার বকপ্রীতিতে আপত্তি না থাকলেও স্থানীয়দের আপত্তি পরিবেশ দূষণ নিয়ে। দুটি বাঁশঝাড়ের আনাচে কানাচে শুধু বক আর বক। দিনভর মলত্যাগ করে বকগুলি। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে টেকা দায়। পাশেই রয়েছে একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র।
Madarihat-Exceptional Initiative: স্বামীকে হারিয়েছেন বহু বছর আগে। বক আগলেই দিন কাটে তাঁর। ছেলের সঙ্গে থাকেন এই বৃদ্ধা। ক্ষুদ্র কৃষক শিবুর একটাই ঘর। উপার্জনও স্বল্প। তবে মালতী বলছেন, সংসারে অন্নবস্ত্রের অভাব তো নেই!
বৃদ্ধার বকপ্রীতিতে আপত্তি না থাকলেও স্থানীয়দের আপত্তি পরিবেশ দূষণ নিয়ে। দুটি বাঁশঝাড়ের আনাচে কানাচে শুধু বক আর বক। দিনভর মলত্যাগ করে বকগুলি। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে টেকা দায়। পাশেই রয়েছে একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র।
Exceptional Initiative: মুজনাই নদীর পাড়ের মহল্লাটায় পাশাপাশি দু'টি বাঁশঝাড়ে অগুনতি বকের ভিড়। স্থানীয়রা বলছেন, সংখ্যাটা কমপক্ষে আড়াই হাজার হবে। আর সেই বকগুলিকেই আগলে রেখেছেন অশীতিপর মালতী রায়। প্রায় দুই দশক ধরে বকগুলিকে আগলে রাখায় এলাকায় তাঁর নামই হয়ে গিয়েছে 'বকবুড়ি'। রীতিমতো লাঠি হাতে দিনভর বকগুলিকে পাহারা দেন তিনি। মালতীর 'ডিউটি' শেষ হয় রাত ন’টার পর। মাদারিহাটের পশ্চিম খয়েরবাড়ির মাস্টারপাড়ায় বাড়ি ওই বৃদ্ধার। বৃদ্ধার সাফ কথা, ‘যখন থেকে বকগুলি বাঁশঝাড়ে বাসা বেঁধেছে তখন থেকে আমার সংসারে অভাব নেই।’
Advertisment
স্বামীকে হারিয়েছেন বহু বছর আগে। বক আগলেই দিন কাটে তাঁর। ছেলে শিবু রায়ের সঙ্গে থাকেন তিনি। ক্ষুদ্র কৃষক শিবুর একটাই ঘর। উপার্জনও স্বল্প। তবে মালতী বলছেন, সংসারে অন্নবস্ত্রের অভাব তো নেই! বৃদ্ধার বকপ্রীতিতে আপত্তি না থাকলেও স্থানীয়দের আপত্তি পরিবেশ দূষণ নিয়ে। দুটি বাঁশঝাড়ের আনাচে কানাচে শুধু বক আর বক। দিনভর মলত্যাগ করে বকগুলি। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে টেকা দায়। পাশেই রয়েছে একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র।
এলাকার বাসিন্দা পুলক রায় বলেন, ‘পাশেই আমার বাড়ি। রাতদিন দুর্গন্ধ নাকে আসে। কিন্তু বক তাড়াতে দিতে কিছুতেই রাজি নন ওই বৃদ্ধা।’ বাঁশঝাড়ের তলা দিয়েই রাস্তা। হরি রায়ের মতো স্থানীয়রা বললেন, "হাঁটতে গেলেই মাথায় পড়ে বকের মল। কিন্তু বকগুলিকে বিরক্ত করলেই লাঠি হাতে তেড়ে আসেন ওই বৃদ্ধা।
বকগুলিকে যে কতখানি আগলে রাখেন মালতী, তা জানা গেল স্থানীয়দের কথাতেই। উঠতি বয়সিরা কয়েকবার নাকি বকগুলিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়েছিল। রেগে মালতী সটান চলে যান মাদারিহাট (Madarihat) থানায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করে।
পঞ্চায়েত সমিতির স্থানীয় সদস্য ললিত রায় বলছেন, ‘ওই বৃদ্ধা ভালোবাসার একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। এছাড়া বকগুলিকে তাড়িয়ে দেওয়া বেআইনি হবে। বন দফতরও একথা জানিয়ে দিয়েছে।’
স্থানীয়রাই জানালেন, বকগুলি আদতে পরিযায়ী ছিল। একসময় প্রতি বছর সেগুলি মাস্টারপাড়ার কৃষিজমিতে বর্ষাকালে আসত ব্যাঙ খেতে। কিছুদিন থাকার পর চলে যেত। তাঁরা বাঁশঝাড়ে আশ্রয় নেওয়ার পর ওই বৃদ্ধা একপ্রকার দত্তক নিয়ে নিয়েছেন বকগুলিকে। নিরাপত্তা পেয়ে বকগুলিও বাঁশঝাড়ে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করে। বাড়তে থাকে বকের বংশ। এভাবেই কেটে গিয়েছে প্রায় ২০ বছর। বকগুলির অভিভাবক এখন মালতীই।