মালবাজারে হড়পা বানে স্বজনহারাকে চাকরি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই চাকরি এবার ফিরিয়ে দিলেন যুবক। তাঁর দাবি, স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুলিশে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে। হোমগার্ড নয়, স্থায়ী চাকরি চাই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফের আবেদন করেছেন নিহতের পরিজন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ভোটের রাজনীতি করছে তৃণমূল, কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বাম-বিজেপি।
প্রসঙ্গত, বিজয়া দশমীর রাতে মাল নদীতে ভয়াবহ হড়পা বানে ভেসে যান বহু মানুষ। প্রতিমা বিসর্জনের সময় মর্মান্তিক ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়। এর পর ১৭ অক্টোবর মালবাজারে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। স্বজনহারাদের চাকরি ও আর্থিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই মতো নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা।
১৮ তারিখ মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠকের সময় চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন চাকরিতে যোগও দিয়েছেন। কিন্তু সুদী পোদ্দার নামে এক যুবক চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিহত সুস্মিতা পোদ্দারের ভাই তিনি। তাঁর অভিযোগ, "আমাদের স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে দেখি হোমগার্ডের চাকরি। স্থায়ী নয়, তাই এই চাকরিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
আরও পড়ুন ২০১৪-এর প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগে জট আরও গভীরে, কী পদক্ষেপ করল পর্ষদ?
সুদীপ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী চাকরির আবেদন জানিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে মালবাজারে। বাম-বিজেপি একযোগে কটাক্ষ করেছে, ভোটের রাজনীতির জন্য ভাঁওতাবাজি চাকরি দিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এসব আইওয়াশ। পাল্টা তৃণমূলের কটাক্ষ, মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পর কতজনকে স্থায়ী চাকরি দিয়েছে বিজেপি সরকার?