মালবাজারে হড়পা বানে যখন বহু মানুষ ভেসে যাচ্ছিলেন, সেই সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাল নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহম্মদ মানিক, দারা সিং, মনোজ, তারিফুল, বিশ্বজিৎরা। বাঁচিয়ে ছিলেন অনেকের প্রাণ। তাঁদের সেই সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে মঙ্গলবার পুরস্কৃত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ লক্ষ টাকার চেক এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়া হয় তাঁদের। কিন্তু কেউ কেউ চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মহম্মদ মানিক।
Advertisment
কেন চাকরি নিতে চাইলেন না মানিক? জানা গিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার নয়, স্থায়ী চাকরি তিনি চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, পুলিশের কনস্টেবল পদে যদি চাকরির ব্যবস্থা করা যায়। মাল নদীতে বিপর্যয়ের দিনে মসিহা হয়ে ওঠা মহম্মদ মানিক জানিয়েছেন, পরিবারের দাবি সিভিক ভলান্টিয়ার নয়, কনস্টেবল টাইপের স্থায়ী চাকরি চাই। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরিতে খুশি নন।
এদিকে, উদ্ধারকারীদের পুরস্কৃতি করা হলেও দুজন নাকি ডাক পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। মেটেলি ব্লকের শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি মহম্মদ তারিফুল এবং তাঁর ভাগ্নে মহম্মদ ফরিদুলের অভিযোগ, সেদিন তাঁরাও উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু জলপাইগুড়ির মাল আদর্শ বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁদের। বিষয়টি জানতে পেরেছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খতিয়ে দেখা হবে কেন ডাকা হয়নি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মালবাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ বিদ্যাভবন স্কুলে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। সেখানেই হড়পা বানে মৃতদের পরিবারের একজনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিহতদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে পুলিশের কনস্টেবল পদে বা সরকারি গ্রুপ ‘সি’ পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।