kanyashree: কন্যাশ্রীর সুবিধা পেতেই আবেদন করেছিল এক ছাত্রী। কিন্তু দাবি মতো কাটমানি না দেওয়ায় আবেদনকারী ছাত্রীকে বিবাহিত দেখিয়ে সেই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠলো এক পঞ্চায়েত সহায়কের বিরুদ্ধে। পুরো বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রী সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের কাটমানির প্রতিবাদ জানিয়ে ওই ছাত্রী পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে চাচোল মহকুমার রতুয়া থানার চাঁদমনি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোমপাল গ্রামে।
রতুয়া ১ ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো জানিয়েছেন, অভিযোগ গুরুতর। তবে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে আইনগত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ওই ছাত্রী যাতে দ্রুত কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাই সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোমপাল গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম৷ তাঁর মেয়ে সুলতানা পারভিন স্থানীয় বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণিতে পাঠরত৷ দেড় বছর আগে সুলতানার বয়স ১৮ বছর হয়ে যায় ৷ গ্রামাঞ্চলে যা স্বাভাবিক হিসাবেই দেখা হয়৷ নিয়ম মতো তিনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের কে-২ ফর্ম পূরণ করেন ৷
মাদ্রাসার তরফে সেই ফর্ম ভেরিফিকেশন করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত দপ্তরে৷ সুলতানার ফর্মের সঙ্গে তাঁর বাস্তব খতিয়ে দেখার কথা ওই পঞ্চায়েতের সহায়ক শান্তনু দাসের৷ তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই ব্লক থেকে কন্যাশ্রীর নাম পাঠানো হবে জেলায়৷
ছাত্রী সুলতানা পারভীনের অভিযোগ, কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম অনুমোদন করে ব্লকে পাঠাতে ঘুষ দাবি করেন শান্তনু নামে ওই পঞ্চায়েত সহায়ক৷ সেই দাবি না মানায় তিনি তাঁর রিপোর্টে সুলতানাকে বিবাহিত বলে উল্লেখ করে৷ এর জেরে সুলতানার ফর্ম বাতিল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন - < College Street: বই পাড়ায় দুশ্চিন্তার কালো মেঘ! ঘুম কেড়েছে উচ্ছেদ-আতঙ্ক! >
ছাত্রী সুলতানা আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে একাধিক বান্ধবীও কে-২ ফর্ম জমা করেছিল৷ ওদের সবার ভেরিফিকেশন হয়ে গেলেও আমার হয় নি৷ আমি শান্তনুবাবুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আমার কাছে টাকা দাবি করেন৷ আমি টাকা না দেওয়ায় তিনি আমার ফর্ম ব্লকে পাঠান নি৷ দেড় বছর ধরে পঞ্চায়েত আর ব্লক দপ্তর ঘুরে ঘুরে শেষ পর্যন্ত আমার মামা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পঞ্চায়েত থেকে আমাকে বিবাহিত বলে রিপোর্ট পাঠানোয় আমার ফর্ম বাতিল হয়ে গিয়েছে৷ এনিয়ে আমি বিডিওকে অভিযোগ দায়ের করেছি৷
বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আনওয়ারুল হক জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা কথা শুনেছি পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেছি।
এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পঞ্চায়েত সহায়ক অবশ্য কোনরকম মন্তব্য করেননি, রতুয়া ১ ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো বলেন, ওই ছাত্রীর অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা না হবে।