মুম্বইয়ে কাজে গিয়ে চলন্ত ট্রেনে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল মালদার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। গত সোমবার রাতে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের খবর জানতে পেরে পরিবারের লোকেরা গিয়েছেন মৃতদেহ আনতে। যদিও মুম্বাই থেকে খড়গপুর পর্যন্ত চলে আসার পরেই সেই মৃতদেহ সংশ্লিষ্ট এলাকার জিআরপির পুলিশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রমজান সবজি (৩০) । তার বাড়ি মোথাবাড়ি থানার ধরমপুর ত্রিমোহিনী এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে পরিবারের লোকেরা খড়গপুর স্টেশনে পৌঁছালে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ খড়গপুর স্টেশন এর জিআরপি ও স্টেশন মাস্টারের কাছ থেকে উপযুক্ত নথিপত্র দেখিয়ে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে রমজান সেবজির কফিন বন্দী দেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরবে বলে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে।
এদিকে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় দুই নাবালিকা সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হাসিনা খাতুন। তিনি বলেন, গত সোমবার ট্রেনে অসুস্থ থাকাকালীন স্বামী আমাদের ফোন করেছিল। ও বলেছিল কোনরকমে আমরা যাতে হাওড়া স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাতে পারি। ও ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে যাবে। কিন্তু এরপরই আমাদের কাছে ফোন আসে অসুস্থ অবস্থায় মারা গিয়েছে রমজান। পরে খড়গপুর স্টেশনে গিয়ে জিআরপির সহযোগিতা নিয়ে বাড়ির লোকেরা রমজানের দেহ হাতে পান । এদিন রাতে স্বামীর দেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
মৃতের বাবা দুলাল সবজি জানিয়েছেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ছিল ছেলে রমজান । অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও সংসার চালানোর জন্য বাইরে গিয়েছিল কাজ করতে। এই পরিস্থিতিতে এখন কি করে তাদের চলবে তা নিয়েও কুলকিনারা করতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা।
এদিকে বিষয়টি শোনার পর মোথাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি নিজেও অসুস্থ রয়েছি। তবে ওই পরিবারটির প্রতি সমবেদনা রয়েছে। অবশ্যই তাঁদের সঙ্গে দেখা করবো। সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।