Malda minor rape during RG Kar protest: আরজিকর-কাণ্ডে যখন সর্বত্র প্রতিবাদের ঢেউ, সেই সময় ফের ধর্ষণের অভিযোগ মালদায়। আদিবাসী নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে। হবিবপুর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, মেডিকেল টেস্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে এলাকারই এক কোয়াক ডাক্তার। ২৮ অগাস্ট বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ধর্ষণকারী বিজেপি কর্মী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পেশায় গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার। পুলিশকে অভিযোগে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার সুবোধ মণ্ডল শারীরিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই অভিযুক্ত ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনার সময় ওই হাতুড়ের বাড়িতে কেউ ছিল না। এরপরই অচৈতন্য অবস্থায় ওই নাবালিকাকে অভিযুক্তের বাড়ির আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে। সেই সময় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ওই অভিযুক্ত হাতুড়ে গা ঢাকা দেয়। এরপর গ্রামবাসীরা সংকটজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান।
নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন তার মেয়েকে ইঞ্জেকশন দেওয়া শেখানোর নাম করে বাড়িতে ডেকেছিল ওই হাতুড়ে ডাক্তার। আর সেখানেই সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করেছে। চেতনা ফিরলে নাবালিকা সমস্ত ঘটনা নাবালিকা তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানায়। এরপরই অভিযুক্তকে ধরে পরিবারের সদস্য ও গ্রামের লোকজন তুলে দেয় হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, 'রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। যেখানে আরজি করের ঘটনা এখনও দগদগে, সেখানে মালদার হবিবপুরে নাবালিকাকে এইভাবে ধর্ষণ করা হচ্ছে। কেন কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না? অবিলম্বে অভিযুক্তের শাস্তি চাই।' জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্স বলেন, 'অভিযুক্তর শাস্তি হোক। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি। অভিযুক্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। আমাদের এই রাজ্যে আইনের শাসন রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।'
আরও পড়ুন- আরজি করের বিক্ষোভে নিগ্রহ করেছে পুলিশ, কমিশনারকে নালিশ মীনাক্ষীর
পালটা খগেন মুর্মু দাবি করেন যে অন্যায়কারীকে বাঁচানোর জন্য বৃহস্পতিবার থেকে ময়দানে নেমেছিল তৃণমূল। কিন্তু, তা ব্যর্থ হয়েছে। সে যদি বিজেপিরই লোক হয়, তাহলে কেন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল তৃণমূল? শুক্রবার এই ঘটনায় খগেন মুর্মু হবিবপুর থানাতেও যান। তিনি সেখানকার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি সঠিক সময়ের মধ্যে চার্জশিট যাতে হয়, সেটাও পুলিশকে নিশ্চিত করতে তিনি বলে এসেছেন। চার্জশিট সঠিক সময়ে পেশ না হলে, আদিবাসী সমাজকে নিয়ে হলে বৃহত্তম আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন খগেন মুর্মু।